হরিনাকুন্ডু নারায়ণকান্দি গ্রামে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব
পিকে নিউজ ডেস্কঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার নারায়নকান্দি গ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহা উৎসব। বিলিন হচ্ছে শত শত বিঘা ধান, পান, ভুট্টা, বাঁশ ও ফসলী জমি। নষ্ঠ হচ্ছে রাস্তাঘাট আর ধুলাই দূষিত হচ্ছে গ্রামের পরিবেশ, গ্রামবাসী হারাচ্ছে তাদের সেই পরিচিত মাঠ। এসব দেখেও অদৃশ্য কারনে প্রশাসন নিরব অসহায়। গত সোমবার বালু উত্তোলনের সেই গভীর গর্তের পাশদিয়ে হাটতে গিয়ে নারায়নকান্দি গ্রামের এক বৃদ্ধ আনছার আলী (৭০) পানিতে পড়ে মৃত্যু বরণ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৫শত বিঘা ফসলি জমি এলোমেলো ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কেটে গভীর গর্তকরে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সেসব জমিতে আগে ধান পান বরজ, ভুট্টা, শিম, বাঁশবাগান সহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হতো। এখনো তার কিছুটা নমুনা আছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৫বছরে আশপাশের যে পান বরজ এবং ধানক্ষেত আছে তা বালুর গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে।
এমনকি বসত বাড়ীও ধসে পড়তে পারে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধোনে স্থানীয় এক সাবেক মেম্বর আক্তার আলী এবং হরিণাকুন্ডুর লালন হোসেন লাল অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর ধরে বালু উত্তোলন করে আসছে। মাঝে মাঝে প্রশাসনের চাপে বন্ধ করলেও আবার তাদের ম্যানেজকরে কয়েকদিন পরেই তা পুনরাই চালু করে থাকে।
এবিষয়ে হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান আমরা এখন করোনা ভাইরাস নিয়ে ব্যস্ত আছি। তবে বিষয়টি আমি জানি মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করি, দায়িত্বশীল কাওকে পাইনা শুধু লেবার পাওয়া যায়, সেজন্য কোন জরিমানা বা মামলা দেওয়া সম্ভব হয় না। শুনেছি আক্তার এবং লালন নামে দুইজন ব্যক্তি এই কাজের সাথে জড়িত। আবার কিছু প্রভাবশালী মহলের অনুরোধেও অনেক আইন প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না। পরবর্তিতে বিষয়টি আমি আবার দেখবো।