মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের এক খণ্ড জমিও যেন অনাবাদী না থাকে সেই আলোকেই হরিনাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের উদ্যোগে থানা চত্বরে পতিত জমিতে চাষ করা হয়েছে বিষমুক্ত বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি। ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। থানার চারিদিকে সবুজের সমারোহ। পতিত জমির সদ্ব্যবহার ও সবুজ শ্যামল মনোরম পরিবেশ তৈরি করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সবজি চাষ ও বাগান পরিচর্যা করে প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, থানার বিভিন্ন অংশে প্রায় ১বিঘা জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য পেয়াজ, রসুন, আলু, টমেটো, পাতাকপি, ফুলকপি, শালগম, গাজর, পুই শাক, পালং শাক, কলমিশাক, মরিচ, ধুনেপাতা, লাউ, সিম, মিষ্টি কুমড়ো, পেঁপে, বেগুন, স্ট্রবেরীসহ নানা রকমের শাক-সবজি। নিয়মিত পরিচর্যা করার ফলে এসব সবজির ফলন বেশ ভালো হয়েছে। সময় পেলেই অন্য পুলিশ সহকর্মীরাও এই সবজির বাগান পরিচর্যা করে থাকেন।
থানার এস আই দিপংকর জানান, সকলের সহযোগীতায় আমাদের ওসি স্যার এখানে বিভিন্ন সবজির চাষ করেছেন। আমি পরিবার নিয়ে থাকি। আমার সবজির চাহিদা অনেকটা এখান থেকেই মিটে যায়।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের এক খন্ড জমিও যেন অনাবাদী না থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় হরিনাকুন্ডু উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এবং কৃষি অফিসের সহায়তায় বীজ সংগ্রহ করে এই সবজি বাগান গড়ে তুলেছি। দীর্ঘদিন পড়ে থাকা জমিতে এই সবজি চাষ করায় আমাদের সবজি কিনতে বাজারে যেতে হয়না। বিষমুক্ত এসব সবজি বাজারের তুলনায় অনেক ভাল। তিনি আরও বলেন,আন্তরিকতা থাকলে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি সব অফিসের পতিত জমিতে এমন সবজি বাগান গড়ে তোলা সম্ভব। যারা ঘরে বসে আছেন, তাদেরও ছাদ বাগান করার পরামর্শ দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাফিজ হাসান জানান, থানা চত্বরে এরকম ব্যাতিক্রমী সবজি চাষকে আমি সাদুবাদ জানায়। এ ধরনের উদ্যোগ যদি অন্য কেউ গ্রহন করেন আমার কার্যালয় থেকে সকল প্রকার সহযোগীতা প্রদান করা হবে।