হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ ঠাণ্ডু মণ্ডলের ছেলে শিশিরের সাথে তাঁর ভাগ্নিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক ও অন্য মেয়ের সাথে বিয়ে করার কারনে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় অত্র উপজেলায় চলছে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়। শিশির একটি বাংলালিংক কোম্পানির এস,আর হিসেবে কর্মরত আছে বলে জানা গেছে। মোছাঃ উর্মি খাতুন ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার বেড়বাড়ী গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনের মেয়ে। তথ্যসূত্র জানাই প্রথমে প্রেম করতে রাজি না হলেও পরে প্রেম করতে বাধ্য হয় তিনি। উর্মি খাতুন ভাগ্নি হয় জেনেও তার সাথে মেলামেশা করতে বাধ্য করে ঐ যুবক শিশির। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে,বিভিন্ন বাসায় নিয়ে গিয়ে চার থেকে পাঁচ বছর দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে উর্মি’র মামা। দীর্ঘদিন তারা ঝিনাইদহ ও ঢাকায় লিভ টুগেদারও করেছে। আত্মীয়তার সূত্র ধরে প্রায় ১০ বছর ধরে চলে তাদের এই গোপন প্রেম। তিনি আরও বলেন আমি এর সঠিক বিচার চাই।
সম্প্রতি কোনও কিছু না জানিয়েই শিশির অন্য মেয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। লম্পট মামার কোনও খোঁজ খবর না পেয়ে উর্মি খাতুন গেলো,এই ঈদে ১০ জুলাই বেড়াতে আসে নানা বাড়িতে। এসে দেখে শিশিরের বিয়ে হয়ে গেছে তখন কোন উপায় না পেয়ে ক্ষোভে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ১৩ জুলাই বুধবার রাতে প্রেমিক শিশিরের বাড়িতেই উর্মি গলায় রশি দিয়ে ঝুলে পড়লে তাকে উদ্ধার করে ১৪ জুলাই বিকাল ৬.৩০ ঘটিকার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ওয়াজেদ আলী মণ্ডলের ছেলে খোকন আলী সাংবাদিকদের জানান,ঐ মেয়ে বিয়ের দাবীতে ৩ রাত এক দিন শিশিরের বাড়িতে অনশন করেন বলে শুনেছি। ভাগ্নির সাথে এমন ঘটনা মানতে রাজি নয় এলাকার আবুল কালাম আজাদ,সবুজ মণ্ডল সহ আরও অনেকেই। শিশিরের ভগ্নিপতির,ভাগ্নি হচ্ছে উর্মি খাতুন। সেই সুবাদে শিশির ও উর্মির সাথে তাদের মামা-ভাগ্নি সম্পর্ক। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মামা শিশির আলী’র সাথে কথা বলতে সরাসরি তার গ্রামের বাড়ি পায়রাডাঙ্গাতে গেলে খোঁজ মেলেনি। পরে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে,মোবাইল ফোনের সুইচটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে কাপাশহাটীয়া ইউনিয়নের পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম জানান,এখন পর্যন্ত আমি পুরা ঘটনা জানি না। তবে আমি ঘটনাটি অল্প-অল্প ভাষা-ভাষা পরস্পর শুনেছি। এমন ছেলের পরিচয় দিতে আমার ঘিন্না হচ্ছে। ঘটনাটি যদি আমি আগেই জানতে পারতাম তাহলে ওদেরকে আমি বিয়ে দিয়ে দিতাম বলেও জানান শিশিরের বাবা ঠাণ্ডু মণ্ডল।
এ ঘটনায় ঝিনাইদহের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের অফিস সূত্রে জানা যায় রুগীর অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত। এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ এ,এস আই মহাসিন জানান ,উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ঠাণ্ডু মণ্ডলের ছেলে শিশিরের সাথে তাঁর ভাগ্নির প্রেমের ঘটনা সত্য।আমরা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।