পুলিশ জনগনের বন্ধু”২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী হরিনাকুণ্ডু উপজেলায় মোট ১,৯৭,৭২৩ জন মানুষের বসবাস। এইসব জনগোষ্ঠীকে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এক হাতে। অনেক দিন পরে হলেও এবার সেমনটাই দেখা মেলে উপজেলাতে।
কখনো মানুষের দুঃখ-কষ্ট,সমস্যা নিরসনে ছুটে যান গোলঘরে। আবার কখনো সমস্যার সমাধানে গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথে ছুটাছুটি। এই মানবিক পুলিশ অফিসারের একটাই লক্ষ্য পুলিশি সেবা মানুষের সবচেয়ে কাছে পৌঁছে দেওয়া। বলছি ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের কথা। তিনি হরিণাকুণ্ডু থানায় যোগদান করেছেন গত এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ ২০২২খ্রীষ্টাব্দে।দুরন্ত এই ওসি’র দায়িত্ব পালনে যদিও ভৌগোলিক সীমা রেখা সামান্য হলেও তাঁর কাছে সহায়তা চাওয়া দাবিটাগুলোর কোনও সীমারেখা থাকে না। চিকিৎসা সহায়তা ,আইনগত সহায়তা অথবা পরামর্শ চেয়ে তাঁর কাছে টেলিফোন আসে সমগ্র উপজেলার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লালন,বাঘাযতীন এঁর জনপদের সাধারণ মানুষের। মানবিক এই পুলিশ কর্মকর্তার বৃহত্তর কর্মযজ্ঞের কারণে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা জায়গাতেও ব্যাপক আস্থাভাজন হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। আস্থা কুড়িয়েছে মানবিক ও ব্যতিক্রমী পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে। ঠাঁই মিলেছে উপজেলার নির্যাতিত আপামর জনসাধারণের।
ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন,আমি মানুষের মাঝে আস্থার বাতিঘর হয়ে বেঁচে থাকতে চাই।এই উপজেলার মানুষ যে পুলিশ আশা করেছে,আমি সেই পুলিশ অফিসার হয়ে বাঁচতে চাই।শুধু পদ-পদবী নয়,আমি হতে চাই জনগনের প্রত্যাশার ওসি। মানুষের মনে দীর্ঘদিন ধরে যতোগুলো নেগেটিভ ধারণা ছিলো তা সবগুলোই আমি মুছে দিতে চাই।। পুলিশভীতি দূর করতে তিনি নিজেই গেছেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। সমাধানযোগ্য বিষয়গুলোর তাৎক্ষনিক সমাধান করেন।বাকি সমস্যাগুলি নোটবুকে লিখে রেখে পরবর্তীতে সেগুলোরও সমাধান করে দেন। যেখানেই মাদক,ইভটিজিং,হত্যা,খুন,অনিয়ম,দুর্ণীতি সেখানেই ছূটে চলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। এমনি নানা কর্মের কারণে পুলিশ-জনতা আস্থার সম্পর্ক তৈরির পাশাপাশি অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধেও ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন তিনি। বর্তমানে ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ব্যস্ত মাদকশূন্য,সামাজিক ও রাজনৈতিক দাঙ্গা-হাঙ্গামা মুক্ত এলাকা গড়তে। দেশের প্রথম মাদকশূন্য থানা গড়তে চান তিনি। এ লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক অভিযানও শুরু করেছেন। অন্যদিকে কলেজ পড়ুয়া চঞ্চল চৌধুরী জানান,এখন পুলিশের তৎপরতা অনেক বেশি,তাই চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আর মাদক অনেকটাই কমে গিয়েছে।যে কোনো সমস্যায় হরিনাকুণ্ডু থানার পুলিশ কর্মকর্তা গুরুত্বের সাথে দেখেন বলেও স্বস্তির কথা জানান ওই কলেজ পড়ুয়া ছাত্র।
এদিকে তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর রাশেদ জানান,একজন ওসি গোলঘরে বসে সাধারন মানুষের সেবা দেন দেখলাম। সাধারন মানুষ সহজেই তার কাছে গিয়ে কথা বলতে পারে বিধায় জনগন খুবই খুশি।অহংকারহীন একজন মানুষ, সকল শ্রেনী পেশার মানুষ তাকে সহজেই থানার গিয়ে কথা বলে আইনি সেবা নেন।