ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার হাকিমপুর গ্রামে আদালতের জারিকৃত ১৪৪ ধারা অমান্য করে জমিতে চাষাবাদ করছে প্রতিপক্ষরা। এতে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিতসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয় গ্রামবাসী।
জানা যায়,ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খামারাইল গ্রামের কৃষক জমির আলী ফারাজ সুত্রে পাওয়া ৫৩ শতক জমি রয়েছে হরিণাকুন্ডু হাকিমপুর গ্রামের মাঠে। দীর্ঘদিন ধরে জমি তার দখলে আছে। ৩ বছর আগে ওই গ্রামের নুরুন্নবীকে বর্গা দেন জমির আলী। এ ঘটনার পর ওই গ্রামের সবুর মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম জমি জোরপুর্বক দখলের চেষ্টা করে। জমি বর্গাকারী নুরুন্নবী জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে তাকেও হুমকি-ধামকি শুরু করে রবিউল ইসলাম। উপায় না পেয়ে জমির মালিক জমির আলী আদালতের স্মরণাপন্ন হয়। আদালতে আবেদন করলে গত ২৭ মে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা সেলিম ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে। উভয় পক্ষকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয় আদালতের পক্ষ থেকে। কিন্তু গত ৬ জুলাই ভূমিদস্যু রবিউল ইসলাম আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমির দখল নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছে। এতে ওই এলাকায় সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয়রা।
জমির মালিক জমির আলী বলেন,আমার জমি আমি বর্গা দিয়েছিলাম। কিন্তু ভূমিদস্যু রবিউল ইসলাম জমি জোর করে দখল করেছে। ১৪৪ ধারা জারি করার পরও তিনি তা মানছেন না। এ বিষয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় একাধিকবার যোগাযোগ করেছি তবুও কোন সুরাহা হয়নি।
বর্গাচাষী নুরন্নবী বলেন,জমিতে গেলে রবিউল ইসলাম হুমকি দিচ্ছে। জমি জোর করে চাষ করেছে। পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ দেখছি দেখছি বলে কাটিয়ে দিচ্ছে।এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন,এমন ঘটনা আমার জানা নেই। আমার কাছে আসলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।