ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের বেড়বিন্নী গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় এক নারী নিহত হয়েছে।নিহত আসমানী খাতুন একই গ্রামের আমজাদ মোল্লার স্ত্রী।
প্রতিবেশী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,গত ৮ মে বিকালবেলা বাওড়ের পাশে হাঁস আনতে গেলে প্রতিপক্ষ মনোয়ার,আলমগীর ও সন্টু’র স্ত্রী,সন্তান এবং নিহত আসমানীর ননদ হালিমা,সেলিনা ও কুটিলা মিলে আমজাদ মোল্লার স্ত্রী’র উপর আকস্মিক হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে।পরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে আসমানীর মৃত্যু হয়। গত ২৩দিনের ব্যবধানে একই গ্রুপের ২জন নিহতের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উল্লেখ যে,গত ১৭ এপ্রিল ওই গ্রামেই উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আলতাফ হোসেন বিশ্বাস (৬৫) নামে ১ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়।নিহতের ঘটনায় ২৬ জনের নামে হরিণাকুন্ডু থানায় মামলা হয়।মামলা করার ২৩ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে ১জন আসামি ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোন আসামি এপর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। উক্ত আসামিরা অনেকে অগ্রীম জামিন নিয়ে বাদি পক্ষের ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। এই নারীর উপরে হামলা ও নিহতের ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ বলে অনেকে মনে করছেন।
হরিনাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,পারিবারিক ও সামাজিক দ্বন্দের ফলে এই হত্যাকান্ড হতে পারে। নিহতের ননদ ও ভাসুরের ছেলে-বউরা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।পোস্ট মর্টেমের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন,এই ঘটনা জমি ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে হয়েছে। এটা কোন সামাজিক দ্বন্দ্বের জের না,আলতাফ বিশ্বাস নিহতের সাথে এর কোন যোগসূত্র নেয়।