• শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন

হরিণাকুন্ডুতে নৌকার ভোটাররা কোনঠাসা, সমর্থকদের উপর চলছে দমন-পিড়ন

হরিনাকুন্ডু প্রতিনিধি / ১৭৪ Time View
আপডেট টাইম : শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ২টিতে বিজয় লাভ করে নৌকার চেয়ারম্যান আর বাকী ৬টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্ররা পাশ করেছে। একারনে পরাজিত প্রতিটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা এখন কোনঠাসা হয়ে পড়েছে।

কোন কোন ইউনিয়নে চলছে আওয়ামী লীগের উপর দমন পিড়ন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করে রাতারাতি ভোল পাল্টে যারা আওয়ামী লীগ সেজেছে,তারাই এসব অপকর্মের সাথে বেশি জড়িয়ে পড়েছে বলে ভূক্তভোগিরা জানান।কিছু সুবিধাবাদি জামাত বিএনপি’র চর আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে মূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতনের মিশন নিয়ে কাজ করছে। তাদের ভোটে বিদ্রোহীরা পাশ করায় ওইসব কর্মীদের পিছনে সেল্টার দিয়ে সহযোগীতা করছে বলেও অনেকে অভিমত প্রকাশ করেন।৭নং রঘুনাথপুর ইউনিয়ন,৬নং ফলসী ইউনিয়ন,৫নং কাপাশহাটীয়া ইউনিয়ন ও ৩নং তাহেরহুদা ইউনিয়নসহ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন থেকেই এমন অভিযোগ আসছে।এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।

উপজেলার ৭নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নে গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছে,তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার মান্দিয়া বাজারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান বসির উদ্দীন এবং তার সহযোগী মাসুদ মেম্বারের লোকজন প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মাস্টারের সমর্থক টগর ও মিলনের উপর পুলিশের সামনেই হামলা চালিয়ে তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়িতে ভাংচুর করে। গত ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের পর থেকেই ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় হরিণাকুন্ডু থানার নবাগত ওসি মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান,মান্দিয়া বাজারের হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় অভিযোগকারীরা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে ও আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ তৎপর আছে বলে তিনি জানান।

কিছু দিন ফলসী ইউনিয়নের ফলসী ও কুলবাড়িয়া গ্রামে,কাপাশহাটীয়া ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া গ্রামে পরাজিত সদস্য প্রার্থী মশিউর রহমানের বাড়িতে অগ্নি সংযোগসহ বিভিন্ন গ্রামে নৌকার সমর্থকরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি হাইস্কুল-কলেজের সভাপতি,সদস্য,দরিদ্রদের জন্য ৪০দিনের কর্মসূচী,১০টাকা কেজির চাল,টিসিবি’র পন্যসহ সরকারের সকল সুযোগ সুবিধার জায়গা থেকে কৌশলে নৌকার ভোটারদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। এই সুযোগে বিএনপি জামাতের নেতারাও অবাধে তাদের উসকানিমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২২ মার্চ উপজেলা বিএনপির’ যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মমিন ফলসী ইউনিয়নের এক জনসভায় দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশালীন বক্তব্য দিলেও আওয়ামী লীগ তার প্রতিবাদে একটি মিছিল বের করে ১সপ্তাহ পর। ৬দিন পরে উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা ওই মমিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে। অভিযোগ দেওয়ার আগে আসামীকে ধরেও পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে তবে এব্যাপারে স্বতন্ত্র কোন চেয়ারম্যানকে প্রতিবাদমূলক কোন কর্মসূচীতে দেখা যায়নি।

এবিষয়ে হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান জোয়াদ্দা বলেন,স্থানীয় সকল সুযোগ সুবিধা স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পায়,আওয়ামী লীগের কোন চেয়ারম্যান না থাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন নির্যাতিত এবং বঞ্চিত হচ্ছে।এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী সংসদ নির্বাচনসহ উপজেলার অন্য যে কোন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে বলে দলের ত্যাগি নেতা কর্মীরা মনে করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Ads 1