ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে এক মহিলার সাথে এক শিক্ষকের অবাধ যৌনাচারের একাধিক ছবি ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এতে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী ও শহরের সচেতন মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক/ শিক্ষার্থীসহ সমাজের নানাশ্রেণি পেশার মানুষ তিব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাই।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং তিনি জানান,স্থায়ী বরখাস্ত করতে হলে সেটা কেবল বোর্ড কর্মকর্তারা করতে পারেন। তার এ বরখাস্তে হরিণাকুণ্ডুতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে শিক্ষার্থী,শিক্ষকসহ সুশীল সমাজে। তবে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের জন্য রবিবার মানববন্ধন করবে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সুনাগরিকগণ। এঘটনা ধামাচাপা দিতে শুক্রবার বিকাল ৩ঘটিকায় ঐ শিক্ষক সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেন। তবে জেলা উপজেলার কোন সংবাদকর্মী তার ডাকে সাড়া দেয়নি।
গত কয়েকদিন ধরে সোশাল মিডিয়ায়, উপজেলার তৈলটুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও এক প্রবাসীর স্ত্রীর অবাধ যৌনাচারের অন্তত ৫ টি অশ্লীল ছবি শহরের সচেতন প্রায় সকল মানুষের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে। এদিকে স্কুল শিক্ষকের আপত্তিকর ছবি প্রকাশ হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একজন শিক্ষকের এ ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পরার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে নিন্দার ঝড় বইছে । অপরদিকে একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন,ওই শিক্ষকের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাবো না।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঐ শিক্ষকের ক্লাস বর্জন করেছেন বলে জানা যায়। তৈলটুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুজন সিনিয়র শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। কোনো শিক্ষক এমনটা করতে পারে তা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারি না। কোথাও মুখ দেখাতে পারছি না। আমাদের প্রতিষ্ঠানে আমাদের এমন একজন সহকর্মী আছে এটা ভাবতেই আমরা লজ্জা পাচ্ছি। আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।