• শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৬ অপরাহ্ন

হরিণাকুণ্ডুতে ফ্যাশন ডিজাইন প্রশিক্ষণে চলছে রমরমা অর্থ বাণিজ্য

হরিণাকুণ্ডু(ঝিনাইদহ)থেকে রাব্বুল হুসাইন / ১৫০ Time View
আপডেট টাইম : বুধবার, ১ জুন, ২০২২

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়বর্ধক ফ্যাশন ডিজাইন ও মাশরুম চাষ ভার্মি কম্পোষ্ট ও মৌচাষ প্রশিক্ষণ কোর্সের ১০০ জন প্রশিক্ষণার্থীদের নিকট হতে ৫০০/-(পাঁচ শত) টাকা নেয়ার অর্থ বানিজ্য খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট খুলতে প্রশিক্ষণার্থীদের নিকট থেকে ৫০০/- টাকা করে দিতে হবে বলে জানান, হরিণাকুণ্ডু মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের প্রশিক্ষক শামসুজ্জামান বাবু। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদেরকে আরও হুশিয়ারী করে বলেন এসব কথা কাহারও কাছে যেন না বলা হয়। অফিসের কথা অফিসেই থাকবে।

এনিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আসা সকল প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার ৩১ মে ঘটনার বিস্তারিত জানতে সরেজমিনে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ
-কিছু প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের কাছে প্রথমে ১০০০/- টাকা দিতে হবে বলে দাবী করলে প্রশিক্ষণার্থীরা এতো টাকা দিতে রাজি হয় না। দেন দরবারের এক পর্যায়ে পরবর্তীতে পাঁচ শত টাকা দিতে বাধ্য হয় প্রশিক্ষণার্থীরা।

এ ব্যাপারে উপজেলার নারায়নকান্দী গ্রামের আব্দার বিশ্বাসের কন্যা সুমাইয়া খাতুন ইমার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এখানে একা-এক গ্রডে ২৫ জন করে সর্বমোট ১০০ জন প্রশিক্ষণার্থী আছে। এর আগে এরকম টাকা নিয়েছে কিনা জানি না। তবে আমাদের কাছ থেকে মাথাপিছু পাঁচ শত টাকা নিয়েছে এবং আমাদের শামসুজ্জামান বাবু স্যারের নির্দেশে আমি সবার কাছ থেকে এই টাকা উত্তোলন করে স্যারকে দিয়েছি।

এ ব্যাপারে উপজেলার প্রশিক্ষক শামসুজ্জামান বাবু সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আমি মাশরুম চাষ ভার্মি কম্পোষ্ট ও মৌচাষের প্রশিক্ষক। মোট তিন মাসের মধ্যে এই কোর্সে ২ মাস পার হয়েছে। ওয়ান টাইম একাউন্টের জন্য ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে কথাটা গোপন রেখে সবার নিকট থেকে ৫০০/- টাকা আদায় করেন। প্রথমে নানা ফন্দি-ফিকির আটতে তিনি ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। তাছাড়া বুধবার (০১ জুন ২০২২ ইং) তারিখে সকল প্রশিক্ষণার্থীদের টাকা ফেরত দেয়ার কথা স্বীকার করেন। এছাড়াও তিনি সাংবাদিকের সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য অনুরোধ করেন। এখানেই শেষ নয় তিনি আরও বলেন,প্লিজ ভাই আমার ভূল হয়ে গেছে এবারের মতো আমাকে ক্ষমা করেন। সংবাদ যাতে না করি সেজন্যে তিনি সাংবাদিক-কে টাকার অফার দেন। সর্বশেষ সবার নিকট থেকে, জন প্রতি ৫০০/- টাকা করে নেয়ার কথা স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সী ফিরোজা সুলতানা জানান, আমি এই ধরনের অভিযোগের কথা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শুনেছি এবং তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়ে (শোকজ) করেছি। তাছাড়া তাকে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে সঠিকভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশও দিয়েছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Ads 1