হরিণাকুণ্ডু উপজেলার সোনাতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর লোকমান হোসেনের নামে এবার ধর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। পাতানো বিয়ে-বিয়ে খেলায় প্রতারনার শিকার উপজেলার ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়নের সোনাতনপুর গ্রামের এক নারী।
গত ১৯ শে জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ রোজ বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী তার বাবাকে নিয়ে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ আদালতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করতে যান মোঃ লোকমান হোসেন (৩৭) পিতা: সিরাজ উদ্দীন সাং ভেড়াখালি,হরিণাকুণ্ডু নামে। ভুক্তভোগী ঐ নারী সাংবাদিকদের জানান,আমার জীবনটা ধ্বংস করে দিয়েছে এই লোকমান হোসেন।আমার মেয়ে সোনাতনপুর মাধ্যমিক স্কুলে পড়তো। সেই সুবাদে আমার সাথে প্রথম পরিচয়,দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশলে আমাকে ফুসলিয়ে শারিরীক সম্পর্ক করে আসছে এই লোকমান। শুধু তাই নয় সোনাতনপুর মাধ্যমিক স্কুলে আমাকে চাকরি দেবার নাম করে পাঁচ লক্ষ টাকাও নিয়েছে। একটা পর্যায়ে লোকমান হোসেন আমাকে নোটারী পাবলিক কার্যালয় ঝিনাইদহে ১৬-০৮-২০২২ ইং তারিখে বিবাহ করেন, যার নং ৯৫০, কিন্তু বিবাহের দুই মাস পরে ১৭-১০-২০২২ ইং তারিখে গোপনে আমাকে তালাক দেয়, কিন্তু আমি তা জানি না। তালাকের পরেও দীর্ঘ নয় মাস আমাকে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছে,আমি আমার স্ত্রীর মর্যাদা চাইলে,আমাকে কোনো স্বীকৃতি সে দিতো না।
আমি হতদরিদ্র পরিবারে সন্তান। আমাকে নিয়মিত ধর্ষণ ও আমার অর্থ লুটপাটের যথাযথ আইনি পদক্ষেপ কামনা করছি,আমি এই ধর্ষকের বিচার চাই। উক্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা হয় ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের সাথে। তারা সাংবাদিকদের জানান,লোকমান হোসেন আমার মেয়ের জীবনটা ধ্বংস করে দিয়েছে।আমি লোকমানের কঠিন বিচার চাই। এদিকে পাতানো বিয়ে ও ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে লোকমানের সাথে কোনও প্রকার যোগাযোগ না থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।সোনাতনপুর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, এই লোকমানের চরিত্র অনেক খারাপ, গ্রামের মেয়েছেলেদের সে বিভিন্নভাবে ইভটিজিং করে থাকে।লোকমানের কঠিন শাস্তির দাবি করেন।
গ্রামের লোকজন আরো বলেন, এই স্কুলে নানা ধরনের দুর্নীতি অনিয়মের মূল কারিগর এই অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর লোকমান। এই ধর্ষকের যথাযথ শাস্তির দাবি করছি।একের পর এক অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছে এই ধর্ষক লোকমান হোসেন। ভুক্তভোগী ঐ নারী ধর্ষক লোকমান হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।