• মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

স্টার্লিংয়ের মতে ওটা পেনাল্টিই ছিল

Reporter Name / ৬৭ Time View
আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১
স্টার্লিংয়ের মতে ওটা পেনাল্টিই ছিল
স্টার্লিংয়ের মতে ওটা পেনাল্টিই ছিল

৫৫ বছর পর বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে উৎসবে ভাসছে ইংল্যান্ড। কিন্তু তাদের জয়সূচক গোলের প্রেক্ষাপট নিয়ে চলছে বিতর্কের ঝড়। যে পেনাল্টি গোলে ইংল্যান্ডকে জয় এনে দেন হ্যারি কেইন, সেটি আদৌ পেনাল্টি ছিল কিনা, এই প্রশ্ন উঠছে। তবে যাকে ‘ফাউল’ করায় পেনাল্টি, সেই রাহিম স্টার্লিংয়ের কোনো সংশয়ই নেই যে রেফারির সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল।

ওয়েম্বলি বুধবার নির্ধানিত সময় ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে আসে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া সেই মুহূর্ত। ১০৪তম মিনিটে বক্সের ভেতর স্টার্লিংকে আটকাতে পা বাড়ান ডেনমার্কের জোয়াকিম। পড়ে যান স্টার্লিং। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি, ভিএআর-এ বজায় থাকে সেই সিদ্ধান্ত।

তবে টিভি রিপ্লেতে বারবার দেখেই মনে হয়েছে, স্রেফ আলতো ছোঁয়া ছিল তার পায়ে। অনেকের মতেই এটি ‘সফট’ পেনাল্টি হয়ে গেছে, একটু সহজেই যেন পড়ে যান স্টার্লিং। পেনাল্টি আদায় করতে তিনি ইচ্ছে করে পড়ে গেছেন বলে সমালোচনাও হচ্ছে।

স্টার্লিং অবশ্য নিজের ভাবনায় পরিষ্কার। জয় তাদের প্রাপ্য ছিল বলেই মনে করেন ২৬ বছর বয়সী তারকা।

“ আমি বক্সে ঢুকেছি, সে তার পা বাড়িয়ে দিয়েছে এবং আমাকে স্পর্শ করেছে। কাজেই এটা পেনাল্টিই ছিল।”

“আমাদের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। অনেক লড়াই করতে হয়েছে, টুর্নামেন্টে প্রথমবার আমরা আগে গোল হজম করেছি। তবে গুছিয়ে উঠে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি এবং দুর্দান্ত টিম স্পিরিটের ছাপ রেখেছি। আমাদের স্রেফ ধৈর্য রাখতে হতো। কারণ জানতাম, যে আগ্রাসন, গতি ও সামর্থ্য আছে আমাদের, ওদেরকে বাগে পাওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার এবং শেষ পর্যন্ত ওই পেনাল্টি আমরা পেয়েছি।”

পেনাল্টি থেকে গোলও সহজে আসেনি। হ্যারি কেইনের শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন ডেনিশ গোলকিপার কাসমার স্মাইকেল। তবে বল নিজের গ্রিপে তিনি নিতে পারেননি, নাগালের বাইরেও ঠেলতে পারেননি। ছুটে গিয়ে আরেকটি শটে বল জালে পাঠান কেইন।

পেনাল্টি মিস করেও শেষ পর্যন্ত গোল করতে পারায় কেইনের কণ্ঠে ছিল স্বস্তি। ফাইনালে উঠতে পারায় ইংলিশ অধিনায়ক ছিলেন উচ্ছ্বসিত।

“একটা পাশ আমি ঠিক করেছিলাম যে ওই দিকেই শট নেব। অবশ্যই আমার নেওয়া সেরা পেনাল্টি এটি ছিল না। তবে কখনও কখনও মিস হওয়ার পরও তা পক্ষে আসে এবং সৌভাগ্যবশত আজকে এসেছে।”

“অসাধারণ একটি ম্যাচ ছিল। ডেনমার্কের কৃতিত্ব প্রাপ্য। তবে আমরা লড়ে গেছি এবং প্রয়োজনের সময় গোল করেছি। এখন ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলব—কী একটা অনুভূতি!”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Ads 1