ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার কে কন্দ্র করে শহরে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুগ্রæপে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও বাড়ি-ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সকালে একাধিক গ্রুপ ঢাল-সড়কি ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মহড়া ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করলে পুলিশ একাধিক রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এরপর ঝিনাইদহ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে অবস্থা শান্ত করা হয়। পুলিশ জানায় মঙ্গলবার রাতে শহরের চৌরাস্তা মোড়ে চোরাগুপ্তা হামলায় উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান ভুট্টো আহত হন। পরে ভাংচুর করা হয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষকলীগ সভাপতি জাহিদুন্নবী কালু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর বাড়িঘর।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানাযায়, দলীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শৈলকুপার পৌর মেয়র আশরাফুল আজম ও পৌর আওয়ামীলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার ইকুর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ইকুর সমর্থক থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান ভুট্টো (৪০) ও তার স্ত্রীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বকভাবে জখম বিরোধী গ্রæপ। ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার ইকু অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাতে আসাদুজ্জামান ভুট্্েরা স্ত্রী লিজাকে নিয়ে চৌরাস্তা মোড়ে আম কিনছিলেন। এসময় পৌর মেয়র গ্রুপের ১০/১২ জন চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে।
স্ত্রী স্বামীকে ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র আশরাফুল আজমের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক করতে ঝিনাইদহ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।