ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাইট বাজারে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে চলছে কলারহাট। দরপত্র বিহীন অবৈধভাবে কলারহাট বসিয়ে প্রতিনিয়ত টোল আদায় করে আত্মসাৎ করছে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি।এতে একদিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার,সেই সাথে ন্যায্যমুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় কৃষকেরা।
জানা যায়,২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে ভাটই বাজারের ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাশে কলারহাট বসায় ওই এলাকার হাফিজুর রহমান,আতিয়ার রহমান,টিটু ও আবু বক্কর। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে অন্যান্য হাট বসলেও অবৈধ ওই হাট প্রতিদিন বসানো হচ্ছে। সেই সাথে হাটের সাথে জড়িতরা রাস্তায় কলা পরিবহণের ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন ঠেকিয়ে জোরপুর্বক ওই হাটে নিতে বাধ্য করছে। এতে ন্যায্যমুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওই এলাকার কৃষকেরা। সেই সাথে ঝিনাইদহ শহরের পৌর কলারহাটসহ অন্যান্য হাটে কলা নিয়ে যেতে পারছে না কৃষকরা।
শৈলকুপা উপজেলার গোলক নগর গ্রামের কলাচাষী মাসুম বিল্লাহ বলেন,আমার নিজের জমির কলা বিক্রি জন্য ঝিনাইদহ পৌর হাটে নিয়ে যাচ্ছিলাম।ভাটই বাজার ওই হাটের সামনে এলে আতিয়ার রহমান জোর করে ভ্যান থেকে কলা নামিয়ে নেই। আমার যে কলা তা প্রতি কাঁদি ৪’শ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরা ২’শ টাকা করে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক কৃষক বলেন,আমি কলা নিয়ে ঝিনাইদহ যাচ্ছিলাম। ভাটই ওই হাটের সামনে গেলে জোর করেই আমার কলা হাটে নিয়ে যায়।সেখানে কম দামে আমার কলা দিতে হয়। আবার টাকাও বাকি রাখে।কিছু বললে টিটু মারধর করতে আসে।
এদিকে অবৈধ ওই কলাহাটের কারণে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে ঝিনাইদহ পৌর হাটসহ অন্যান্য হাটের ইজারাদাররা।অবৈধ ওই কলারহাট বন্ধের জন্য ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক,শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।এক কৃষক বলেন,আমি কলা বিক্রির ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পায়।প্রত্যেক দিন ঘুরছি তাদের কাছে। টাকা তো দিচ্ছেই না। গেলে খারাপ ব্যবহার করছে।
অবৈধ ওই হাটের ব্যাপারে অভিযুক্ত হাট মালিক হাফিজুর রহমান বলেন,আমার অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। আমি ডিসি সাহেবের কাছে কাগজ দিয়েছি। মনে হয় তাড়াতাড়িই কাজ হয়ে যাবে। আমি কারও কলা জোর করে নিই না।যার যেখানে খুশি বিক্রি করুক।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন,আমি এর আগে হাটটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম।এখন যদি শুরু করে তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।