• মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১২:০২ পূর্বাহ্ন

লকডাউনের কারণে “বিউটিপার্লার মালিকেরা যে ভাবে সরকারী ঋণ পাবেন”

Reporter Name / ১৭১ Time View
আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২০

লকডাউনের কারণে “বিউটিপার্লার মালিকেরা যে ভাবে সরকারী ঋণ পাবেন”

পিকে নিউজ ডেস্কঃ

বিউটিপার্লারের বর্তমান অবস্হা ও সরকারী ঋণ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সৌন্দর্য বিষয়ক গবেষক ও লেখক- কসমিটোলজিস্ট এ.কে.এস অনিমিথ আমাদের প্রতিনিধিকে জানান – ” অন্য সকল শিল্পের মত বহু পুরাতন একটি শিল্প যা খৃষ্টপূর্ব ১০,০০০ বছর পূর্ব থেকে চলে আসছে, জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত এ শিল্পের অর্থমূল্য ৫৩২ বিলিয়ন ডলার, জুলাই ২০২০ তে ৬০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতো কোভিড ১৯ না হলে। ১৯৬৪ সালে নিউইউর্কে বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান “খ্রস্টিনভাল্মি ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অফ বিউটি” যাত্রা শুরু করে, যার শাখা পৃথিবীজুড়ে। বিউটি নিয়ে পড়াশোনা করা আমার প্রথম প্রতিষ্ঠান এটি।

অবাক করা তথ্য হলো এটির শুরু ১৯৬৪ সালে, আর এর আগে ১৯৬৩ সালে বাংলাদেশে কার্মেল চ্যাং লিউশেই বিউটি নিয়ে প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু এতদিনে এ শিল্প বিশ্বজয় করে অত্যন্ত শক্ত অবস্হানে রয়েছে, অন্যদের সাথে আমাদের যাত্রার শুরুটা হলেও আমাদের মত অবহেলিত ও পিছিয়ে আর কোন দেশ নেই অথচ বাংলাদেশের সব থেকে বেশী নারী উদ্দ্যোক্তা এই সেক্টরে, এ শিল্পের সাথে জড়িত ৪০ লক্ষের বেশি পরিবার চলে।দেশের এই শিল্পটি যতটুকু ভাল করছে নিজস্ব চেষ্টা ও অর্থায়নে।বর্তমানে করোনা ঝামেলায় স্থবির হয়ে পড়েছে সৌন্দর্য শিল্পটি। বৈশ্বিক এ সমস্যা মোকাবেলা করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান,বিভিন্ন দাতা সংস্থা,কসমেটিকস কোম্পানীকে এগিয়ে আসতে হবে। করোনা সমস্যা মোকাবেলার জন্য ৯% হারে ২০,০০০ হাজার টাকার সরকারী ঋণ ঘোষণা দেয়া হয়েছে, এর মধ্যে সরকার বহন করবে ৫% এবং ঋণ গ্রহীতা বহন করবে ৪%।এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ।ব্যক্তিগত স্বার্থের কোন কারণে এ ঋণ নিয়ে কোন ব্যক্তি,অ্যাসোসিয়েশন বা প্রতিষ্ঠান ঋণ করিয়ে দিবে বলে আশ্বাস দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে প্রকাশ্যে বা গোপনে। দয়াকরে কেউ বিভ্রান্তি হবেন না। এটা অনুদান নয় যে, সামগ্রিকভাবে একজায়গায় দিবে বন্টনের জন্য, এটা ব্যাংক ঋণ। আপনার ঋণ আপনার হাতেই দেয়া হবে যদি ঋণের আওতায় আপনি পড়েন। ঋণের জন্য যে কাগজগুলো লাগবে তা হলো। (১) ট্রেড লাইসেন্স (২) বিনিয়োগের জন্য আবেদন পত্র (৩) অঙ্গীকারনামা (৪) আয়-ব্যয় বিবরণী (৫)দায়-দেনা-পাওনা বিবরণী (৬)জাতীয় পরিচয় পত্র (৭) আয়কর সার্টিফিকেট (৮) ছবি ৪ কপি (৯)ভ্যালুয়েশন (১০)চাহিদা পত্র (১১) ব্যাংক একাউন্ট(১২)নাগরিক ও চারিএিক সনদ (১৩) গ্যারান্টার (১৪) ডিড ( যদি নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠান হয় তবে বাড়ির মালিকানার কাগজ লাগবে, অন্য কোথাও হলে ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র। এগুলো জমার পর ব্যাংক থেকে অডিটে যাবে এবং আপনার চাহিদার সত্যতা ও সত্যিকারের প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করে আপনাকে লোন দিবে। অন্য কোথাও লোন থাকলে লোন হবেনা এটা ঠিক নয়, ব্যাংক এডজাস্ট করে লোন দেয়।

সর্বশেষ এ.কে. এস অনিমিথ বলেন ” কোন কোন ব্যাংক লোন দিবে আর কি কি কাগজ লাগবে বিস্তারিত সরকারী ভাবেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Ads 1