রমজানে নিয়মিত কিভাবে, কখন ও কতবার ব্রাশ করবেন
পিকে নিউজ ডেস্কঃ
প্রতিদিন নিয়ম করে দাঁতের যত্ন করলে দাঁতের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য দুটিই যেমন বজায় থাকে তেমনি ব্যক্তিত্বেরও বহিঃপ্রকাশ পায় এই দাঁত দেখে। এখন প্রশ্ন হলো, কিভাবে যত্ন নিবেন ব্রাশ করবেন, কখন ও কতবার? এ প্রসঙ্গে পিকে নিউজকে জানান সৌন্দর্য বিষয়ক গবেষক ও লেখক মোঃ এ.কে.এস অনিমিথ। তিনি বলেন- প্রতিদিন রাতে খাবার পর এবং সেহেরী খাবার পর ডেন্টাল ফ্লসিং করে দু বার উত্তমরুপে ব্রাশ করতে হবে ২/৩ মিনিট ধরে। এরপর হাতের আঙুল দিয়ে ১/২ মিনিট মাড়ি মাসাজ করতে হবে। এই মাসাজে মাড়ির রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং গোড়া মজবুত হয় যার ফলে দাঁত সুস্থ থাকে অনেক বয়স পর্যন্ত। রাতে খাবার পর ডেন্টাল ফ্লসিং করে ভালভাবে ব্রাশ করে মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করলে মুখ সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যায় তাই সেহেরীতে উঠেই ব্রাশ করার কোন প্রয়োজন নেই, আঙুল দিয়ে বা মেসওয়াক করে নিতে পারেন। নিম,জয়তুন,আশটানি,খেজুরের ডাল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে খেয়ে নিন। খাবার ৩০মিনিট পর পানি খেয়ে ডেন্টাল ফ্লসিং করে, ভালভাবে ব্রাশ করে,মাড়ি মাসাজ করে, মাউথওয়াশ করে নিন। অনেকে সেহেরী খাবার আগে ব্রাশ করে এবং খাবার পরে ব্রাশ না করার কারনে এ খাবার দাঁতের ফাকে আটকে পঁচে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়। ব্রাশ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন দাঁতের ফাকে কোন খাবার কণা না থাকে। খাবার কণা থেকে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, দাঁতে দাগ,পাথর হয়। রমজানের দিনে মেসওয়াক করাটাই উত্তম, তবে ব্রাশ করতে চাইলে করতে পারেন পেস্ট ছাড়া।পেস্ট ব্যবহার করি কারন পেস্টের পেপারমেন্টের ঝাঝটা ভালো লাগে এবং তরতাজা ভাব আসে। তবে রমজানের দিনে পেস্ট ব্যবহার না করাই উচিত। ব্রাশ কিনবার সময় খেয়াল রাখতে হবে ব্রাশের দাড়াগুলো যেন মজবুত ও নরম হয়। সব সময় ভাল ব্রান্ডের ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত। দাঁত মাজতে হয় উপর-নিচ করে, সর্বোচ্চ ৩ মিনিট ধরে। গোড়াতে যেন আঘাত না লাগে, ছুলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তা না হলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে দাঁতের দৃঢ়তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দাঁতের গোড়াতে পাথর হলে স্কেলিং করে নিবেন ডেন্টিস্ট দিয়ে, স্কেলিং করলে কারো কারো দাত সামান্য ফাকা দেখা যায়,এটা স্কেলিং এর জন্য নয় বরং দাঁতে জমা পাথর সরে যায় সেজন্য। স্কেলিং করার পর কারো কারো ২/৩ দিন দাঁত শিরশির করে, পরে ঠিক হয়ে যায়। দাঁতে ব্যথা,রক্তক্ষরণ, মাড়ি ফোলা,ঘা, শিরশির করা সহ যে কোন সমস্যা হলে অবশ্যই ভাল ডেন্টিস্ট এর কাছে শরণাপন্ন হবেন।সুস্থ দাঁত ও হাসি নিয়ে আপনাদের রমজান ভাল কাটুক সকলের সাথে।