রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন তথ্য ব্যথিত, যার কাছে যে তথ্য আছে দিতে বাধ্য। জনগণের তথ্যের নিশ্চিত করার লক্ষেই এই আইনটি প্রতিষ্ঠিত। দেশে যত আইন আছে, তার মধ্যে বিশেষ বিশেষ আইন হলো তথ্য অধিকার আইন,২০০৯। ঝিনাইদহে তথ্য অধিকার আইন,২০০৯ বিষয়ক জনঅবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমরা এই আইন সম্পর্কে মানুষকে জানাতে জেলা, উপজেলায় যাচ্ছি। এগুলো করছি কেন। কারণ এই যে বলছি জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস, তা বাস্তবায়ন করার লক্ষে। মানুষ যেন তার অধিকার সম্পর্কে জানতে পারে।
তথ্য সংগ্রহ সম্পর্কে প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, সাংবাদিকের কাজই হলো অন্ধকারে লাইট মারা। আর সেখান থেকেই তথ্য বের করে আনাই সাংবাদিকতা। তবে কাজটি সহজ নই। মানুষও নেতিবাচক বিষয়টি বেশি পড়তে চাই। এজন্য সাংবাদিকদেরও এইদিকে আগ্রহ থাকে বেশি। তবে অনেক সময় অন্ধকারে লাইট মারতে গিয়ে ভূল করে ফেলি, এই বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও তথ্য কমিশন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, স্থানীয় সরকার বিভাগ’র উপ-পরিচালক ও ঝিনাইদহ পৌর প্রশাসক ইয়ারুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু।
অনুষ্ঠানে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি উপস্থিত অনেককে তথ্য অধিকার আইন সর্ম্পকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়।