যশোরের শার্শায় স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে করায় শিক্ষক রাসেলের নামে ১ম স্ত্রীর মামলা
বেনাপোল প্রতিনিধি:
যশোরের শার্শা উপজেলার শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোছাঃ আফসানা মিম নামে এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা ও পরে বিয়ে করায় ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক রাসেল আহমেদের (৩৬) বিরুদ্ধে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অভিযোগ দাখিল করেছেন তার প্রথম স্ত্রী মোছাঃ শাহনাজ পারভীন লিজা (২৭)।অভিযুক্ত শিক্ষক রাসেল আহমেদ যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার কুল্লা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারি শিক্ষক (বিজ্ঞান) হিসাবে কর্মরত আছেন। তার ঘরে স্ত্রী রয়েছে। রাসেল আহমেদ আশরা তাসফিয়া হৃদিতা (০৯) নামে এক কন্যা সন্তানের জনক। এই ঘটনায় এলাকায় হইচই পড়ে গেছে। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়ানোর সূত্র ধরে শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঐ ছাত্রীর সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই প্রতিষ্ঠানেরই শিক্ষক রাসেল। এক পর্যায়ে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ব্যতিত গোপনে গত ১৭-০৩-২০২০ ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেন রাসেল। অভিযোগকারী স্ত্রী লিজা জানান, গত ২০০৬ সালে রাসেল তাকে ভালবেসে বিয়ে করে। তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান আছে। তাদের বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত রাসেল ও তার পরিবার। এমতাবস্থায় শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রাসেলের চাকরি হয়। এবং আস্তে আস্তে রাসেল বিদ্যালয়ের অনেক মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পারলে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে লিজাকে একাধিকবার তার মেয়ের সামনে শারীরিক নির্যাতন করে। তাকে গ্রামে রেখে রাসেল নাভারনে ঘর ভাড়া করে সেখানে মিম নামের মেয়ের সাথে থাকত। বিষয়টি জানাজানি হলে সংসারে অশান্তির ভয়ে লিজাকে সেই বাসায় তোলে এবং সেখানেও একাধিক মেয়েকে পড়ানোর নামে নিয়ে আসত। এই সমস্ত বিষয় তার পরিবার জানা সত্তেও এবং বারবার বলা সত্তেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি বরং অভিযোগ করলে তাকে নির্যাতন করত। তার এই অনৈতিক কর্মকান্ডে সবসময় সাহস জুগিয়েছে রাসেলের খালা একই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তার ও তার পরিবার। এবং তাসলিমা আক্তার এই সমস্ত বিষয়ে অবগত এবং তার সহায়তায় রাসেল এই অপকর্ম করে আসছে। তিনি আরো জানান, কিছুদিন আগে রাসেল মোটর সাইকেলে এক্সিডেন্ট করলে তার একটা পা ভেঙ্গে যায়। এই সুযোগে তার খালা তাসলিমা আক্তারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বুঝিয়ে বিদ্যালয়ের একটা রুমে ২৪ ঘন্টা থেকে প্রাইভেট ও ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। গোপন সূত্রে জানতে পারি মিম সেখানে তার সাথে রাতে থাকত অথচ এই ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি কেউ। নানান অযুহাতে আমাকে গ্রামে অথবা বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে মিমের সাথে রাত কাটায়। আমার একটা মেয়ে এই অবস্থায় আমি আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। আমি এই নারীলোভী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। স্থানীয় অভিভাবকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠায় সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে ভাল মানুষ হওয়ার জন্য। যেখানে এমন একজন শিক্ষক থাকে সেইখানে মেয়েদের কোন নিরাপত্তায় নেই। আমরা এর আগেও তার নামে একাধিক মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে শুনেছি। এইরকম শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ার জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানান। আরো আসছেঃ শার্শা পাইলট হাইস্কুলের শিক্ষক রাসেলের যত কুকীর্তি।