• মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

ভাষার মাসে ভাষা হারিয়ে স্কুল আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে আছে জরাজীর্ণ শহীদ মিনারটি

কাজী মোহাম্মদ আলী পিকু / ৩৯ Time View
আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
ভাষার মাসে ভাষা হারিয়ে স্কুল আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে আছে জরাজীর্ণ শহীদ মিনারটি

ভাষার মাসে ভাষা হারিয়ে স্কুল আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে আছে জরাজীর্ণ শহীদ মিনারটি

পিকে নিউজ ডেস্কঃ
যদিও সরকারি আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক। কয়েকদিন পরেই ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন। যদিও মরণব্যাধী করোনা ভাইরাসের কারনে এদিন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে বিদ্যালয়ে আসতে পারবে কিনা তা জানা নেই।
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৪ নং দৌলতপুর ইউনিয়নের দখলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহান এই ভাষার মাসে ভাষা হারিয়ে স্কুল আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে আছে জরাজীর্ণ শহীদ মিনার। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে প্রায় ২ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে।
এ বিষয়ে ঐ বিদ্যালয়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলে, আগে যখন আমাদের স্কুলে অনুষ্ঠান হতো তখন শহীদ মিনার না থাকায় আমাদের খুব অসুবিধা হতো।বর্তমানে আমাদের স্কুলের শহীদ মিনার ভেঙ্গে গেছে, তাই ফুল দিতে চরম অসুবিধা হয়। শহীদ মিনার ভেঙে যাওয়ার কারণে ২১ ফেব্রুয়ারি ভালোভাবে পালন করতে পারি না। ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছিলেন, যাদের জন্য আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি, যাদের জন্য আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি, সেই শহীদের জন্য আমরা গর্ব করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের স্কুলের শহীদ মিনার কয়েক বছর ধরেই ভাঙ্গাচুরা অবস্থায় অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। তাই আমাদের স্কুলের শহীদ মিনারটি অচিরেই সুন্দর করে তৈরির দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে দখলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোকাররম হোসেন বলেন, আমাদের স্কুলের আশেপাশে আর কোন বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। দীর্ঘ দিন আমাদের স্কুলের শহীদ মিনারটি আংশিকভাবে ভেঙ্গেচুরে জরাজীর্ন অবস্থায় পড়ে আছে। মহান ২১ ফেব্রুয়ারির দিন আসলেই আমাদের ছোট্ট ছোট্ট কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর সময় পড়তে হয় চরম বিড়ম্বনা ও ঝুঁকিতে। চলতি মাসেই শহীদ মিনারটি সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, করোনা মহামারীর কারণে স্কুলের অনেক উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হয়েছে। তাছাড়া এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে এ ধরনের কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষ দেয় নি। এখন যেহেতু জেনেছি আমাদের সামনে ১১ তারিখে মাসিক মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে সুরাহা করার চেষ্টা করবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Ads 1