• শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন

প্রথম দিনেই অলআউট বাংলাদেশ

Reporter Name / ১৪৭ Time View
আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

স্পোর্টস ডেস্ক

দুই ম্যাচ সিরিজের সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার হয় টিম বাংলাদেশ। সেই বিপর্যয়ে পরে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অল আউট হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এরপরই প্রথমদিনের খেলারও সমাপ্তি টানা হয়।

এর আগে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিনে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলে ৩ রান নিয়ে সাইফকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন তামিম। শাহীন আফ্রিদির করা দ্বিতীয় বল ঠিকঠাক মতোই সামলেছেন সাইফ। কিন্তু তৃতীয় বলটি খেলতে গিয়ে গড়বড় করেন সাইফ। অফস্ট্যাম্পের বাইরের ফুলারলেন্থ বল ড্রাইভ করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন। আলগা শটে নিজের উইকেট হারান তরুণ ওপেনার। সাইফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পথচলা শুরু হল শূন্য রান দিয়ে। এরপর তামিমও বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন না। পরের বলেই আব্বাসের বলে এলবির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম।

শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলছিলেন নাজমুল-মুমিনুল। কিন্তু দুজনের জুটিতে ৫৮ রান তুলেই শাহীন আফ্রিদির শিকার হন দলপতি মুমিনুল। ৫৯ বলে ৫ চারে মুমিনুলের রান ৩০। আফ্রিদির বলে উইকেটকিপার রিজওয়ানের ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি।

৯৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিল বাংলাদেশ। লাঞ্চ থেকে ফিরে স্কোরকার্ডে কোন রান যোগ না হতেই আব্বাসের বলে রিজওয়ানের ক্যাচ হয়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফেরার আগে ১১০ বলে ৪৪ রান তুলেছেন তিনি।

শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মাহমুদউল্লাহও। দলীয় ১০৭ রানে আফ্রিদির বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ। ফেরার আগে ৪৮ বল খেলে মাহমুদউল্লাহ রান তুলেছেন ২৫।

৫ উইকেটের পর বাংলাদেশের হয়ে হাল ধরেছিলেন লিটন-মিথুন। কিন্তু তাতে বাধ সেধে লিটনকে(৩৩) সাজঘরে পাঠান হারিস সোহেল। লিটনের বিদায়ে ভাঙলো ৫৪ রানের জুটি। এরপর বাংলাদেশকে টেনে তুলেছেন তাইজুল-লিটন জুটি। ৭২ বলে ২৪ রানের ধৈর্যশীল খেলে তাইজুল বিদায় নিলে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রতিরোধের লড়াই। এরপর দ্রুত বিদায় নেন রুবেল হোসেন।

কিছুক্ষণ পর হাল ছেড়ে দিয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন দিনের সেরা ব্যাটসম্যান মিঠুনও। নাসিম শাহ’র শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪০ বলে ৬৩ রান। ইনিংসটি ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো। এরপর কোনো রান করার আগেই রান আউটের শিকার হয়ে দলের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান আবু জায়েদ।

বল হাতে পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদি একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট গেছে মোহাম্মদ আব্বাস ও হারিস সোহেলের দখলে। ১টি উইকেট গেছে নাসিম শাহ’র ঝুলিতে।

এবার দ্বিতীয় দফায় পাকিস্তান সফরে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম ধাপে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারে টাইগাররা. লাল বলের ক্রিকেটে দু’দলের ১০ বারের সাক্ষাতে ৯ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। বাকি ম্যাচটি ড্র হয়েছে। অবশ্য নিজেদের শেষ টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে হারানো পাকিস্তানও স্বস্তিতে নেই। কারণ গত ২৩ বছর রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট জিতেনি স্বাগতিকরা। গত চার ম্যাচের মধ্যে তারা তিন ম্যাচে হেরেছে এখানে।

বাংলাদেশ একাদশ:

তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমুনিল হক (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ ও এবাদত হোসেন।

পাকিস্তান একাদশ:

শান মাসুদ, আবিদ আলী, আজহার আলী (অধিনায়ক) বাবর আজম, আসাদ শফিক, হারিস সোহেল, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ইয়াসির শাহ, মোহাম্মদ আব্বাস, শাহীন আফ্রিদি নাসিম শাহ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Ads 1