নিয়ম বহির্ভূত সরকারি কোয়ার্টারে থাকেন ঝিনাইদহ সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক
পিকে নিউজ ডেস্ক,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ সেখ ভাড়া না দিয়ে সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি করোনা ধরা পড়লে সরকারি বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধি আবাসিক বিদ্যালয়ের একটি কোয়ার্টারে স্বপরিবারে ৯ মাস ধরে বসবাস করছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি বাড়ি ভাড়া বাবদ কোন অর্থ সরকারি খাতে প্রদান করেন না। অথচ আগে তিনি নিজ কর্মস্থল ঝিনাইদহে বসবাস না করেও কুষ্টিয়া থেকে যাওয়া আসা করতেন। জানা গেছে, সরকার কর্মকর্তাদের নিজ কর্মস্থলে বসবাস করার জন্য মূল বেতনের সাথে বাড়ি ভাড়া বাবদ নির্দিষ্ট হারে অর্থ দিয়ে থাকেন । সেই হিসাবে উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ সেখ মূল বেতনের সাথে ৩৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া পান। নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করলে সেই অর্থ তিনি আর পাবেন না। উপ-পরিচালক কোয়ার্টারে বসবাস করে সরকারি কোষাগার থেকে বাড়ি ভাড়া বাবদ সুবিধাসহ অর্থ নিয়ে অবৈধভাবে আয়েশী জীবন যাপন করছেন।
বিষয়টি জানতে সরেজমিনে ঝিনাইদহ-হরিণাকুন্ডু সড়কের মহিষাকুন্ডু সরকারি বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধি আবাসিক বিদ্যালয়ে গেলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। কোয়ার্টারের দোতলার একটি ফ্লাটে উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ সেখ পরিবারসহ বসবাস করছেন। ওখানকার কর্মচারীরা জানান, করোনা মহামারি শুরু হলে উপ-পরিচালক স্যার কোয়ার্টারে পরিবারসহ এখনও পর্যন্ত বসবাস করে যাচ্ছেন। উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ সেখ কোয়ার্টারে বসবাস করলেও এ পর্যন্ত কোন প্রকার অর্থ সরকারি কোষাগারে দিয়েছেন কিনা তার সত্যতা যাচাই করতে ঝিনাইদহ হিসাব রক্ষক কর্মকর্তার কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি বাড়ি ভাড়া বাবদ কোন অর্থ পরিশোধ করেন না। তিনি মাসিক মূল বেতনের সাথে বাড়ি ভাড়ার পুরো টাকা প্রতিমাসে তুলে নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ সেখ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি এখানে ৪/৫ মাস আছি, রাতে বাচ্চাদের দেখাশোনার জন্য। তিনি আরও বলেন , প্রতিষ্ঠানটি চালুর স্বার্থে আমি এখানে থাকছি। প্রশাসনের সবাই জানে, এখানে যথাযথ লোকবল নেই। বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধি আবাসিক বিদ্যালয়ে যারা থাকে তারা কথা বলতে পারে না, শুনতে পারে না,তাই তাদের নিরাপত্তার জন্য আমাকে থাকতে হয়।