যারা নির্বাচনী বিধি প্রতিপালন না করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনার মার্কা যেটাই হোক, মার্কার দিকে তাকানো হবে না। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শনিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সাথে নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালন ও আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, যিনি অপরাধ করবেন, তিনি অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন। পূর্বে জেলার আরো তিন উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু জাল ভোট হয়েছে এমন সুযোগ আমরা দিইনাই। তেমনি ভাবে সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে আমরা সুন্দর একটি ভোট উপহার দিতে চাই। এজন্য আপনাদের সকালের সহযোগিতা চাই।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহীন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম। পুলিশ সুপার বক্তব্যে বলেন, আমরা সকলেই একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু ভোট চাই। সরকারও সুষ্ঠু ভোট চাই। এজন্য নির্বাচনী বিধি মানতে হবে। আর যদি না মানেন তাহলে, মানতে যা যা করার প্রয়োজন তা করা হবে।
এর আগে ১৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য পদপ্রার্থীগণ বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্য কালে ১৭নং নলডাঙ্গা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কবির হোসেন বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা মার্কার সমর্থকদের জন্য সঠিক ভাবে প্রচার চালাতে পারছেন। এমনকি নির্বাচনী বিধি ভেঙে সংসদ সদস্য গণসংযোগ করছেন।
অপর দিকে হরিশংকরপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভয়ভীতি, প্রচার কাজে বাঁধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এসময় ফরিদের এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে, সব অভিযোগ অস্বীকার করেন নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাসুম। পাল্টা বক্তব্যে মাসুম বলেন, তিনি(ফরিদ) যখন চেয়ারম্যান ছিলেন মানুষের উপর অন্যায়, অত্যাচার করেছেন। এজন্য ইউনিয়নের মানুষ তাকে প্রত্যাখান করেছে।
পদ্মকর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিকাশ বিশ্বাস তিনিও নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করে বলেন, নৌকার প্রার্থী নির্বাচনী বিধি ভেঙে মসজিদ সহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে অনুদান প্রদান করেছেন। এই অর্থ তিনি সরকারি কোষাগার থেকে না ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দিচ্ছেন জানতে চাই। এর পাল্টা বক্তব্যে নৌকা মার্কার প্রার্থী সৈয়দ নিজামুল গণি লিটু সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও, একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৫০হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার আশ্বাসের কথা স্বীকার করেন।
এছাড়াও অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য পদপ্রার্থী তাদের সুবিধা, অসুবিধার কথা সভায় ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. আঃ ছালেক, ঝিনাইদহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা সহ ১৫টি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ৭জন রির্টানিং কর্মকর্তা।