• বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

নিত্যপণ্যের উত্তাপে পুড়ছে মানুষ বাজার নিয়ন্ত্রনের উদ্যোগ নেই

শেখ হৃদয় আহমেদ / ৬৪ Time View
আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৩


প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। সেই তুলনায় বাড়ছে না মানুষের আয়। যে কারণে আয় ও ব্যয়ের সমন্বয় করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। আর এর চাপ গিয়ে পড়ছে সংসারে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সবচে বিপাকে পড়েছে দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষ। গতকাল যে পণ্যের দাম ছিল এক রকম, আজ বাজারে গিয়ে দেখা যাচ্ছে বাড়তি। ঝিনাইদহের কয়েকটি বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া যায়।

দেখা যায় ডিম, কাচা মরিচ, রসুন, জিরা, কদুুসহ অনেকগুলো পণ্যের দাম ৭/১০ দিনের ব্যবধানে তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। এর সাথে বেড়েছে গরুর খাদ্য ভূষির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিম বিক্রয় হচ্ছে প্রতি হালি ৪০ টাকা, যা কয়েক দিন আগেও ছিল ৩৫টা। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রসুনের দাম। ৮০ টাকার রসুন এখন বিক্রয় হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। ৫৮০ টাকার জিরা এখন ৭০০টাকা, ২০ টাকা পিচ কদু ৫০টাকা, ২০ টাকা কেজি কাচা মরিচ (বগুড়া) ৮০/৯০টাকা, দেশাল ৩০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ১০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে গরুর খাদ্য ভূষি ৪৮ টাকা থেকে বেড় ৫২টাকা বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের এই অস্বাভাবিক লম্ফঝম্ফ নিয়ে বেসরকারি চাকরিজীবী নাসির উদ্দিন জানান, বর্তমানে যে বেতন পাই তা দিয়ে ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে চলতে এমনিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন করে আবারও বেড়েছে ডিম, রসুন, কাচা মরিচ সহ কয়েকটি পণ্যের দাম। যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। নাসির উদ্দিনের মত একই অবস্থা ভ্যান চালক আব্দুল হাকিমের। আব্দুল হাকিম আলাপচারিতার এক পর্যায়ে বলেন, এক বছর আগেও ভ্যান চালিয়ে যে আয় করতাম, এখনও সেই পরিমাণ আয় করি। কিন্তু বর্তমানে আয় না বাড়লেও নিত্যপণ্যে দাম ঠিকই বেড়েছে। যে কারণে ৪ সদস্যের পরিবার নিয়ে প্রতিদিন সংগ্রাম করে জীবনের সাথে বেচে থাকতে হচ্ছে। আর স য়ত পরের হিসাব।

নতুন করে দ্রব্য মূল্যর বৃদ্ধির বিষয়ে কথা হয় ভজোহরী বাণিজ্য ভান্ডারের স্বাত্বাধিকারী ভজোহরী বিশ্বাসের সাথে। তিনি বলেন কয়েকটি কারণে রসুন, কাচা মরিচের বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হলো চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়া। সামনে নতুন ফসল উঠলে দাম কমবে বলে আসা করা যাচ্ছে। ডিম ব্যবসায়ী কার্ত্তিক চন্দ্র সাহা জানান, বাজারে ডিমের চাহিদা হওয়ায় সরবরাহ কম। তাই বাজারে ডিমের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরাপপুরের ডিম ব্যবসায়ী দাউদ হোসেন জানান, বিশ্ব ইজতেমার কারণে এই সাময়িক সংকট চলছে। খুব দ্রুত ডিমের দাম কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Ads 1