নিজের ঘরে খাবার নেই অথচ অন্যের দ্বারেদ্বারে পৌঁছে দিচ্ছে ত্রাণ সহায়তা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
খুব ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছেন রিপন। যখন ৪ বছর বয়স ১৯৯৬ সালের ১৫ফেব্রুয়ারী বিএনপির একতরফা নির্বাচনে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে ভাতুড়িয়া ভোট সেন্টার থেকে মা আলতামতি নিহত হন। তারপর ৪মাস বয়সের ছোট ভাই শিপনকে নিয়ে মায়ের স্নেহ ভালোবাসাহীন একাকিত্ব পথচলা। কখনো দাদির কাছে তো কখনো নানির কাছে। এভাবে কেটে গেছে জীবনের মূল্যবান ২৭/২৮ বছর। করতে পারেন নি তেমন কিছুই। এখন বিয়ে হয়েছে, মায়ের মত ফর্সা টুকটুকে একটা মেয়ে হয়েছে ঘরে। কোন মতে চলে যায় সংসার। এই করোনা মহামারী বদলে দিয়েছে রিপনকে, গ্রামের মাঝ দিয়ে যখন বের হয় তখন মায়ের বয়সি অনাহারী অর্ধাহারী মুখ গুলার দিকে তাকিয়ে রিপন নেমে পড়ে ত্রান সহায়তায়,পরামর্শ করে মামা সাংবাদিক শাহানুর আলমের সাথে। সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। প্রথমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা’র নিকট ৮টি, হরিনাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর জোয়ার্দারের নিকট থেকে ১০টি ত্রাণ নিয়ে শুরু করেন হত দরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম।এরপর শিতলীর হাজী বিশারত আলীর নিকট থেকে ২২প্যাকেট, তার মামা, কাকা এবং গ্রামের আরও দু’চারজনের সহায়তায় এপর্যন্ত ৯৫প্যাকেট ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে ভাতুড়িয়া গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে। এছাড়াও সে জানিয়েছে এখনো যদি নিতান্তই গ্রামে কারও ঘরে খাবার না থাকে তাহলে মোবাইল করলে পৌঁছে দেওয়া হবে খাবার। অন্যান্য অসুবিধা হলেও যেকোন সময় মানুষের ডাকে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। মানুষের সেবা করে মায়ের ভালোবাসায় সিক্ত করতে চায় সমাজকে। তার এই সহযোগীতার হাত অব্যাহত রাখতে সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।