ঝিনাইদহ পৌরবাসীকে ভালো রাখতে দিন-রাত ছুটে চলেছেন পৌরপিতা সাইদুল করিম মিন্টু
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আতংকিত বিশ্ববাসী। করোনা থেকে বাঁচতে ঘরবন্দি মানুষ। সবাই খুঁজছে নিরাপদ আশ্রয়। প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না কেউ। ঠিক এই সময় শহরবাসীর মুখে খাবার তুলে দিতে আর তাদের ভালো রাখতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত ছুটে চলেছেন অভিভাবকের বেশে। যাচ্ছেন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে। দিচ্ছেন চাল, ডাল, আলু, তেল, লবন, সাবান, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। তিনি আর কেউ নন তিনি ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু।
গত ২৬ মার্চ থেকে ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয় তাঁর এই সেবামূলক কর্মকান্ড। প্রতিদিন সকালে বাড়ী থেকে বের হয়ে আসেন শহরের পায়রা চত্বর থেকে একটি কন্ট্রোল প্যানেলে। শহরের বিভিন্ন স্থানে লাগানো মাইকে শুরু করেন সচেতনতামুলক প্রচার। ঘরে থাকা আর বাইরে অযথা ঘোরাঘুরি না করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি দেন সহযোগিতার আশ্বাস। পৌরসভার ৩৫ জন কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের নিয়ে শুরু করেন খাদ্যসামগ্রী বিতরণের তালিকা। প্রতিদিন একেক এলাকার তালিকা করে পরের দিন শুরু করেন খাবার বিতরণ। রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরেঘরে ভ্যানে করে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। এছাড়াও দিচ্ছেন ডিমসহ লাউ, মিষ্টি কুমড়া, পুইশাক, ডাটা শাক, বেগুন, বরবটি, টমেটো, পটল, কাঁচামরিচ। সরকারের দেওয়া সহযোগিতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে দিচ্ছেন এইসব খাবার। পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রতিদিন করা হচ্ছে জীবানুনাশক স্প্রে।
শহরের কাঞ্চননগর এলাকার সাংস্কৃতি কর্মী খান জাহান আলী বলেন, এই দুর্যোগের সময় পৌরমেয়র যেভাবে কাজ করে চলেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। একজন জনপ্রতিনিধি কিভাবে মানুষকে সেবা দিবে তা মেয়রের কর্মকান্ড দেখলে অনুধাবন করা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাকুরীজীবি বলেন, আমার বাড়ি অন্য জেলাতে। এখানে একটি কোম্পানীতে চাকুরী করি। অন্যজেলার বাসিন্দা হওয়ায় সরকারি সহযোগিতা সেভাবে পাইনি। পৌরমেয়রকে ফোন দিয়ে বিষয়টি বললে তিনি গোপনে আমার বাসায় খাবার পৌঁছে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কেউ না খেয়ে থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই আমি রাস্তায় আছি। শহরবাসীকে বলেছি আপনারা ঘরে থাকুন আমি রাস্তায় আছি। যখন যা প্রয়োজন হবে আমি সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। তিনি আরও বলেন, পৌরসভার বাসিন্দা ছাড়াও যারা শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন, মধ্যবিত্ত আছেন তাদের সহযোগিতা করার জন্য আমি আলাদা কর্মসূচী হাতে নিয়েছি। তারা যোগাযোগ করলে আমি তাদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিব।