ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া পুটিয়া গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি প্রায় ৭০টি পরিবার।
এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ২৯ জুলাই পুটিয়া গ্রামে মসজিদে নামাজ পড়ার সময় আকামত দেওয়াকে কেন্দ্র করে মুসল্লীদের মাঝে বাক-বিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। এরই জের ধরে পরদিন উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মোদাচ্ছের হোসেন নামের এক ব্যাক্তি নিহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের মিলন-বিপুল বাহিনী গ্রামে লুটপাট,ভাংচুর চালিয়ে যাচ্ছে।
এখন পর্যন্ত ওই গ্রামের কমপক্ষে ৭০ টি বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, গ্রামে মিলন-বিপুল বাহিনীর অত্যাচারে গ্রামের ৭০টির অধিক পরিবার নির্দোষ হওয়া স্বত্তে¦ও বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, নিহত হওয়ার ঘটনায় তার স্ত্রী বাদি হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যে মামলায় আসামীরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু তারপরও থেমে নেই অত্যাচার। তাই এ অত্যাচার নিপীড়ন বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনের ভুক্তভোগী রজব আলী, যুমনা বেগম, লালমতি খাতুন, কবির হোসেন, বিউটি আক্তার, রোকেয়া খাতুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।