ঝিনাইদহে স্ত্রীকে পাশবিক নির্যাতনের দায়ে স্বামী ও সতিনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।সোমবার সকালে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এ দন্ডাদেশ প্রদাণ করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো-জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার মহিতুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত-নবিরুদ্দীন প্রামানিকের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুন।আসামী রহিমা খাতুন পলাতক রয়েছে।মামলার বিবরণে জানা যায়,২০১৬ সালের ২৪ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ শহরের পাগলা কানাই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় প্রথম স্ত্রী নুরুন্নাহারকে ডেকে নেয় তার স্বামী শহিদুল ইসলাম।সেখানে দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা খাতুনের সহযোগিতায় নুরুন্নাহারকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়। একই সাথে লোহার রড গরম করে নুরুন্নাহারের যৌনাংগে ঢুকিয়ে নির্যাতন করে।এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পরদিন সদর থানায় দুইজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে নুরুন্নাহার।
দীর্ঘদিন বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত স্বামী শহিদুল ইসলাম ও সতীন রহিমা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে শহিদুল ইসলাম উপস্থিত থাকলেও রহিমা খাতুন পলাতক রয়েছে।