ঝিনাইদহে সিও এনজিওর গ্রাহককে পিটিয়ে ৫০হাজার টাকায় রফাদফা
সুলতান আল একরাম,ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহে এনজিওর কিস্তির টাকা পরিশোধ না করতে পারার কারনে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের পশ্চিম নারায়পুর গ্রামের সামসুলের ছেলে আক্তারুল(২৮) নামে এক ব্যক্তিকে পিটানর অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের সিও সংস্থার বিরুদ্ধে। ঝিনাইদহ সদর থানার অভিযোগের সূত্র থেকে জানা যায় নারায়নপুর গ্রামের আক্তারুল ইসলাম ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ৫৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তিতে পরিশোধ করে। তবে গত ২০ দিন যাবত জ্বরে অসুস্থ্য হওয়ার কারনে ২ হাজার টাকা কিস্তি বাকী পড়ে। এই অবস্থায় গত রবিবার সকাল ১০ টার দিকে সিও এর ঋণ আদায়কারী কর্মী সামছুল ইসলাম কিস্তি নিতে আসলে আক্তারুলের স্ত্রী আদায়কারিকে আকুতি মিনতি করে বলে যে আমার স্বামী খুব অসুস্থ্য তাই আজ কিস্তি দিতে পারছি না। স্বামী সুস্থ্য হলে অফিসে গিয়ে শেষ ২ হাজার টাকা পরিশোধ করে আসব। কিস্তি না পেয়ে সামছুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগালি করতে থাকে। ঘটনা কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি করে মোবাইলে ডেকে নিয়ে আসে সিও গান্না অফিসে কর্মরত আরো ৫ জন কে। তারা এসে ১২ টার দিকে বেধড় মারপিট করে আক্তারুল ইসলামকে। তাদের হাতে মার খেয়ে আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়ে আক্তারুল ইসলাম। তখন তাকে প্রথমে কালীগঞ্জ হাসপাতাল পরে সেখান থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সর্বশেষ জানা গেছে যে ঘটনাটা অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মিমাংসা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী জানায় যে তারা আমাকে বেদম মারপিট করে এই মর্মে আমি থানায় অভিযোগ করেছিলাম পরে চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি চুপচাপ আছি।
এদিকে নাম ও পদবী, এনজিও, প্রকাশে অনিচ্ছুক এনজিও এক মাঠ কর্মীর সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে তিনি বলেন আমরা নিরুপাই। আমাদের লোনের কিস্তির টাকা আদায় করতে না পারলে আমাদের বেতন থেকে টাকা কেটে নিয়ে লোনের কিস্তির টাকা শোধ করা হয়। প্রশ্ন করি কোন এনজিও তিনি বলেন সকল এনজিও ই এই কাজটি করে থাকেন। বললে চাকুরী চলে যাবে।
গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন মালিথা বলেন ঘটনা সত্য। যে কিস্তি আদায় করে সে খুব খারাপ, সে মহিলা মানুষ নিয়ে আপত্তিকর কথাও বলেছে। আমাদের এখানকার কলেজের প্রিন্সিপাল সিও এনজিওর মালিকের বন্ধু তার সাথে বসে ৫০হাজার টাকায় মিমাংসা হয়েছে।
সিওর নির্বাহী পরিচালক সামছুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ক্যাম্পের আইসি বসে তাহা মিমাংসা করে দিয়েছে।
বেতাই ক্যাম্পের আইসি এস আই হাবিব বলেন তদন্ত করে জানা গেছে মারধরের ঘটনা সত্য। চেয়ারম্যান আর সিওর মালিক এক জায়গায় বসাবসি করে টাকার মাধ্যমে মিমাংসা হয়েছে শুনেছি, আমার কাছে এখনো মিমাংসার কাগজ আসে নি।