• বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ১২:৩০ অপরাহ্ন

ঝিনাইদহে সরকারী বিদ্যালয় বন্ধ ! কিন্তু থেমে নেই টিফিনের টাকা আদায়

কাজী মোহাম্মদ আলী পিকু / ১১৪ Time View
আপডেট টাইম : সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০
ঝিনাইদহে সরকারী বিদ্যালয় বন্ধ ! কিন্তু থেমে নেই টিফিনের টাকা আদায়

ঝিনাইদহে সরকারী বিদ্যালয় বন্ধ ! কিন্তু থেমে নেই টিফিনের টাকা আদায়


কে এম সালেহ, ঝিনাইদহঃ
দীর্ঘ সময় ধরে করোনা মহামারীর কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ঝিনাইদহ সরকারী বালক এবং বালিকা বিদ্যালয়ে আদায় করা হচ্ছে টিফিন ফি, বেতন, ল্যাব ফিসহ সকল আনুসাঙ্গিক খাতের টাকা। ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৬০০ছাত্র এবং বালিকা বিদ্যালয়ে ১৬৬০ ছাত্রী অধ্যায়ন করে। তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে সরকারী বেতন ছাড়াও টিফিন ফি ৭৫ টাকা ,কম্পিউটার ফি ২০, অত্যাবশকীয় ব্যয় খাতে ২০টাকা আদায় করা হয়। তাছাড়া বছরের শুরুতে সরকারী ফি বাদে একজন শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ভর্তির সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ বেসরকারী খাতে ১২১৫টাকা নিয়ে থাকে। সবমিলে একজন শিক্ষার্থীর নিকট থেকে বছরে বেসরকারী খাতে ২৫৯৫ টাকা নেওয়া হয় যার একটি টাকাও সরকারী কোষাগারে জমা হয় না। এছাড়াও বার্ষিক ডিনার বা শিক্ষা সফর তো আলাদাই রয়েছে।
ঝিনাইদহ সরকারী বালক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী অনুযায়ী এবছর বার্ষিক আয় হবে ৪১লাখ ৫২হাজার টাকা এবং বালিকা বিদ্যালয়ে আয় হবে ৪৩লাখ ৭হাজারের কিছু বেশী।
এবছর করোনা মহামারীর কারণে মার্চের ১৭ তারিখ থেকে স্কুলের সকল কার্যক্রম বন্ধ একটানা ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। তাছাড়া ফেব্রুয়ারীর ১তারিখ থেকে এস এস সি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্রায় ১মাস ১০দিন বন্ধ ছিল স্কুল দুটি। এবছর খোলার সম্ভাবনা একেবারেই নেই, কারণ ইতোমধ্যেই বার্ষিক পরীক্ষা হবে না বলে ছাপ জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি। শুধু মাত্র জানুয়ারী মাসে স্কুল চালু থাকলেও ১২মাসের টিফিনসহ অন্যান্য সব ফিস আদায় করা হচ্ছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টিফিন ফিসহ ও অন্যান্য আনুসাঙ্গীক ফি আদায় করায় ক্ষোভে ফুসে উঠছে অভিভাবকরা। তারা জানান টিফিন খরচ ফেরতসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গীক ফিস কমানোর ব্যাপারে যদি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা না হয় তাহলে তারা আন্দোলনের ডাক দেবেন।
এব্যাপারে ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান বলেন অন্যান্য বারের ন্যায় এবারও আমরা টিফিন ফিসসহ অন্যান্য ফি নিচ্ছি তবে এটা বেসরকারী ফিস হলেও আমরা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অনুমতি স্বাপেক্ষে নিয়ে থাকি, না নেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোন নির্দেশনা পাইনি। সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লক্ষী রানী পোদ্দার বলেন পূর্বের নিয়মানুসারে আমরা এসব ফিস নিচ্ছি যদি এর পরিবর্তন হয় তাহলে আমরা সেটা অভিভাবকদের জানিয়ে দেব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Ads 1