• মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন

ঝিনাইদহে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

Reporter Name / ১২৯ Time View
আপডেট টাইম : সোমবার, ৮ জুন, ২০২০
ঝিনাইদহে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

ঝিনাইদহে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

প্রতিনিধি, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মান্দারবাড়ীয়া হাজি রফিউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলতি বছরের বরাদ্দকৃত স্লিপ, প্রাক ও ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পে অনিয়ম ও নাম মাত্র কাজ করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, উপজেলার কালিচরনপুর ইউনিয়নের মান্দারবাড়ীয়া হাজি রফিউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চলতি ২০১৯/২০ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পের ১,৫০,০০০ টাকা বরাদ্দ করেন । বরাদ্দের এই ১,৫০,০০০ টাকা তিনি স্কুল মেরামতের কাজে না লাগিয়ে কোন অনুমতি ছাড়ায় নতুন দুই কক্ষ বিশিষ্ট টিন সেডের বিল্ডিং তৈরি করছেন। যাহাতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্ন মানের ইট,বালি ও খোয়া। কোন প্লান না করেই নিজের ইচ্ছামত মাটির নিচেই কোনমতে এক সারি দশ ইঞ্চি ইট গেঁথে এর উপর পাঁচ ইঞ্চি করে গাঁথা হচ্ছে ঘরের ওয়াল। একেতো তিন নাম্বার সারির ইট তারপর নির্মাণের ভিত্তি দুর্বল হওয়ার কারনে কমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বলে ভাবছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তারা বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে যে টাকা স্কুলের ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ দেখিয়ে নেওয়া হয়েছে তা দিয়ে যদি স্কুলের পুরাতন বিল্ডিং এর কাজ করানো হয় তবে পুরাতন ঐ বিল্ডিং এর নতুনত্ব ফিরে পাওয়া সম্ভব।
তারা এও বলেন, প্রধান শিক্ষিকা এবছরের স্লিপ, প্রাক ও ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পের নাম মাত্র কাজ ও নিম্ন মানের সামগ্রী ক্রয় করে মনগড়া ভাবে ভাউচার তৈরি করে শিক্ষা অফিসে জমা দিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগসাজশ করে ফায়দা লুটে নিচ্ছেন। ফলে শিক্ষার গুণগত মান ও সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হাসিনা খাতুনের কাছে প্রকল্পের কাজ কে করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সবকিছু করছেন। আমি কিছু জানি না, আমি শুধু দেখভাল করছি।
বিষয়টির উপর ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাথমিক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার সুধাংশ কুমারের সাথে কথা বললে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমরা শুধু বাজেট পাস করেছি, কাজটি অ্যাডোব কমিটির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষিকাই করছেন। এছাড়াও কাজের ইস্টিমেট দেখতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কেউই দেখাতে পারেন নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Ads 1