ঝিনাইদহে মনিপীরের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
প্রতিনিধি,ঝিনাইদহঃ
বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষকনেতা শেখ মাহমুদুল হক মনিপীরের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সে উপলক্ষে ১৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর গ্রামে তার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, প্রয়াত নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও শপথ পাঠ করা হয়। এরপর নেতার কর্মময় জীবন সংগ্রামের এক সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারনমূলক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তোজাম্মেল হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হক লিকু ও প্রয়াত কৃষকনেতার সহকর্মী ইসহাক প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে কৃষকনেতা মণিপীরের কর্মময় সংগ্রামী জীবনের ওপর আলোকপাত করে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে কৃষক ও কৃষির সমস্যা সমাধানে সর্বস্তরের কৃষক-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, দেশের কৃষক নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। বলতে গেলে এখনও দেশের কৃষক প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল হয়েই তার কৃষিকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যান্য বক্তারাও বলেন, কৃষি জমি ধ্বংসরোধ, খাস জমি ভূমিহীন গরিব কৃষকদের মাঝে বণ্টনসহ ৭ দফা দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নাই। ভারতের চলমান কৃষক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করেন। সামগ্রিক সঙ্কটময় মূহুর্তে খাদ্য নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান তথা জাতীয় স্বার্থে জাতীয় শিল্প বিকাশের উপযোগি নীতি এবং দক্ষ ও স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতাপূর্ণ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাসহ দেশের চিনিকলসহ অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি আধুনিকায়নের মাধ্যমে জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব।
সভাপতি তার সমাপনি বক্তব্যে বলেন, কৃষকনেতা মণিপীর সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের উচ্ছেদ করে কৃষি বিপ্লব তথা জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবকে অগ্রসর করতে যেভাবে আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন তা থেকে শিক্ষা নিয়ে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকলকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।