গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে ঝিনাইদহে বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খাবারের দোকান, পোষাক, ইমিটেশনের গয়নাগাটি এবং ঘর গৃস্থালির ব্যবহারের বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী নিয়ে এই মেলার স্টল বসেছে।
বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই মেলায় লোকসমাগম বেশি দেখা যায়। পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্ত¡রের এই মেলা চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেলার দর্শনার্থী অধিকাংশ স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং ছোট সোনামনিরা। মেলায় ছোটরা তাদের মায়ের সাথে ঘুরতে আসছে। তবে মেলায় পর্যাপ্ত খেলার সামগ্রী না থাকায় ছোট সোনামনিরা সেভাবে আনন্দ উপভোগ করতে পারছে না। মেলায় খাবারের মান এবং গুনাগুন নিয়ে দর্শনার্থীদের রয়েছে অভিযোগ। মেলা দেখতে আসা একাধিক দর্শনার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, খাবারের দোকানে আগের দিনকার বাসি খাবার খাওয়ানো হচ্ছে এবং তাছাড়া একই তেল দিয়ে বারবার ভাজা খাবার শিশুদের সমস্যা হতে পারে বলেও জানান অনেকে। এছাড়া নিম্নমানের পণ্যের পসরা সাজিয়েছে মেলার মাঠে। মেলার মাঠে অনেক স্টল এখনো ফাঁকা। গতবারের মত মেলা জমাতে পারেনি বলেও অনেকের মন্তব্য। মেয়েদের সেলোয়ার, কামিজ, থ্রীপিচ, বোরখা, লেহেঙ্গাসহ আরও কিছু পোষাক থাকলেও সেগুলো মানসম্মত নয়, তাছাড়া দাম কিছু বেশি চাওয়া হচ্ছে বলে অনেকেই ধারণা করেছেন। ছেলেদের কোর্ট, শার্টের দোকানেও তেমন ভিড় নেই, তবে বাঁচ্চাদের পোষাক বিক্রিতে কিছুটা এগিয়ে।
বরাবরের মত খাবারের দোকানে বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে যে চিংড়ি কাবাব, মার্টুনচপসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীতে বাসি খাবার খাওয়ানো হচ্ছে বলে অনেকেই বলেছেন। তবে বছরান্তে একবার এই মেলায় সকল শ্রেণীর দর্শকরা বেশ আগ্রহভরে দেখতে আসে,এজন্য দর্শনার্থীদের দাবি এই বিজয় মেলায় যেন নিম্মমানের খাবার বা পণ্য সামগ্রী বিক্রয় করা না হয় এবং তারা বলেন, প্রতিদিন ভোক্তা অধিকার এবং নিরাপদ খাদ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে মেলার কার্যক্রম দেখভাল করা উচিৎ। তবে মেলায় রয়েছে বাড়তি আকর্ষণ প্রতিদিন রাত ৯টা পর্যন্ত চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গীত পরিবেশনা। ঝিনাইবাসীর দাবি আরও সৃজনশীল এবং রুচিসম্মত পণ্যের সম্ভারে মেলা হয়ে উঠুক প্রাণবন্ত এবং শিশুসহ সকল শ্রেণীর মানুষের বিনোদনের আশ্রয়স্থল।