ঝিনাইদহে প্রবাসীর স্ত্রীকে গোপনে বিয়ে করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লম্পট শিরনের বিরুদ্ধে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
পরিবারের দারিদ্রতা ঘুঁচাতে ও ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে কাজের আশায় পাড়ি জমিয়েছিল প্রবাসে। বাড়িতে রেখে গিয়েছিল প্রিয়তমা স্ত্রী ও সন্তানদের। বিদেশে কঠিন পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে স্ত্রী সন্তানদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিজে খেয়ে না খেয়ে টাকা পাঠিয়েছে দেশে। কিন্তু প্রিয়তমা স্ত্রী তার পাঠানো টাকা পয়সা গয়নাগাটি নিয়ে আজ অন্যের ঘরে। আর সেই ভুক্তভোগী প্রবাসী দেশে ফিরে প্রতারণার জালে সর্বশান্ত হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিচারের আশায়।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদরের বৈডাঙ্গা গ্রামে। প্রবাসী কবিরের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী একই গ্রামের লম্পট তিন সন্তানের জনক সিরাজুল ইসলাম শিরন (৬০) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গোপনে বিয়ে করে গড়ে তোলে দৈহিক সম্পর্ক, বিদেশ থেকে কবিরের পাঠানো টাকা পয়সা স্বর্ণলংকার কৌশলে হাতিয়ে নেই শিরন। কবির দেশে ফিরেও জানতে পারে না স্ত্রী’র এসব অপকর্ম। পরে গোপন অভিসারে ধরা পড়ে, জানাজানি হয় শিরনের অপকর্মের কথা। এসময় শিরন জানায় দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে গোপনে তাদের বিয়ে হয়েছে,তারা বৈধ স্বামী-স্ত্রী কিন্ত শেষ পর্যন্ত কবিরের আর অবশিষ্ট কিছুই রইলো না, সব হারিয়ে এখন পাগল বনে গেছে, মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বিচারের আশায়।
সরেজমিনে এলাকায় ঘুরে জানা যায়, বৈডাঙ্গা গ্রামের মৃত হাসেম আলীর ছেলে কবির বিদেশে থাকাকালীন সময়ে একই গ্রামের মৃত নোয়াব আলীর লম্পট ছেলে সিরাজুল ইসলাম শিরন বিভিন্ন ছল চাতুরি করে কবিরের বাড়ীতে যাতায়াত করতো এবং কবিরের স্ত্রী তহুরা খাতুনের সাথে টাকা পয়সা লেনদেন করতে করতে শ্বশুর- বউমা সম্পর্কের কথা ভুলে পরকীয়ার গোপন অভিসারে লুটে পুটে নেই কবিরের সব পাঠানো টাকা। কবির দেশে ফেরে ২০১৮ সালে, তার সাথেও স্ত্রী স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। তহুরা দুই স্বামীর সাথেই সামনে এবং গোপনে উঠাবসা করে।
গত কয়েকদিন আগে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের দিকে শিরনের সাথে তহুরার পরকীয়ার সম্পর্ক জানাজানি হলে শিরন তহুরা দম্পতি জানায় ২০১৫ সালে তারা গোপনে বিয়ে করেছে। অভিযুক্ত শিরন ক্যামেরা দেখে কথা বলতে না চাইলেও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তহুরাকে আমি ভালোবাসতাম এজন্য সমাজের সবাই তাকে নির্যাতন করতো, নানা কথা বলতো তাই আমি তাকে বিবাহ করেছি। অপর অভিযুক্ত তহুরা বেগম বলেন, যা শুনেছেন সবই সত্যি, আমরা দুজন দুজনকে ভালোবেসে বিবাহ করেছি।ওর (কবিরের) কি আছে যে ওর সাথে থাকবো ও আমাকে শুধু কষ্ট দেয়। সুখ দিতে পারে না। অস্ত্র আর সন্ত্রাসীর ভয়ে কিছু বলতে পারিনা।
ভুক্তভোগি কবির বলেন ২০বছরের সংসারী জীবনে তিনটি কন্যার মা আমার স্ত্রী তহুরা খাতুন। ১৫ বছর বিদেশ খেটে টাকা দিয়েছি ৬বছর আগে অন্যের সাথে বিয়ে করেও আমার ঘরে আছে, আমার অর্থ সম্পদ সব লুটে নিয়ে গেছে, আমি এখন সমাজে বের হতে পারি না। আমার সবকিছু শেষ।
এলাকাবাসীর দাবি লম্পট শিরনের এমন বিচার হোক, যা দেখে সমাজের আর কেউ যেনো এমন কলংকিত ঘটনা ঘটাতে না পারে।