ঝিনাইদহে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের হাতে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও মিরাজ জামান রাজ নামে দুই সাংবাদিক হয়রানির স্বীকার হয়েছে। এসময় পুলিশ তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। আব্দুল্লাহ আল মাসুদ অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজের ঝিনাইদহ প্রতিনিধি এবং মিরাজ জামান রাজ সাপ্তাহিক দুরন্ত প্রকাশের সম্পাদক। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুর দেড়টার সময় ঝিনাইদহ শহরের পাগলা কানাই মোড়ে।
সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ জানান,চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের সাথে স্কাউট সদস্যরা কাজ করছে। রোববার দুপুরে স্কাউটদের নিয়ে একটি স্পেশাল রিপোর্ট করার জন্য পাগলা কানাই মোড়ে যায়। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের অনুমতি নিয়ে এক স্কাউট সদস্যের ভিডিও বক্তব্য নেয়া শুরু করি। এসময় খানজাহান আলী নামে এক কনস্টেবল হঠাৎ উপস্থিত হয়ে বলে পুলিশের কোন ভিডিও নেওয়া যাবে না। তখন পুলিশকে জানিয়েছি,তাছাড়া আমিতো পুলিশের বক্তব্য নিচ্ছি না,স্কাউট সদস্যদের বক্তব্য নিচ্ছি। একথা বলার পরই আমার হাতে থাকা ফোনটি কেড়ে নেয়।এসময় আমার সাথে থাকা অপর সাংবাদিকের ফোনও কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করে দেয়। আর বলে কিসের সাংবাদিক। এসময় আবারও প্রেসক্লাবের সদস্য ও সাংবাদিক পরিচয় দিলে আরো ক্ষেপে গিয়ে ওই পুলিশ সদস্য বলেন,কিসের প্রেসক্লাব ? এছাড়া সাংবাদিকদের নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন,কনস্টেবল আবুবকর,খান বাহাদুর রাকিব ও অর্ণব উপস্থিত ছিলেন। তবে, ঘটনাস্থলে এসআই আব্দুল হাকিম দায়িত্বে থাকলেও তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
সাপ্তাহিক দুরন্ত প্রকাশের সম্পাদক মিরাজ জামান রাজ বলেন,আজ দুপুরে শহরের পাগলাকানাই মোড়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের এক কনস্টেবল খানজাহান আলী হঠাৎ আমাদের হাতের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এর পর কনস্টেবল বলে,আপনারা কিসের সাংবাদিক? প্রেসক্লাবের সদস্য বললে তিনি বলেন কিসের প্রেসক্লাব ? যা পারেন করেন,দেখি কি করতে পারেন? ঘটনার পরপরই বিষয়টি পুলিশ সুপার,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতিকে অবহিত করেন ভুক্তভোগিরা। এ নিয়ে ওই দুই সাংবাদিক ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামকে জানালে তিনি জানান,এমন হওয়ার কথা না। আপনারা সম্ভবত পরিচয় দেন নি।তারপরও বিষয়টি আমি দেখছি।