• সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০৬ অপরাহ্ন

ঝিনাইদহে পিঁয়াজের বীজ কিনে প্রতারিত কৃষক ভোক্তাধিকারের হস্তক্ষেপে ফেরত পেলেন ক্ষতিপূরনের টাকা

কাজী মোহাম্মদ আলী পিকু / ৯৫ Time View
আপডেট টাইম : সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০
ঝিনাইদহে পিঁয়াজের বীজ কিনে প্রতারিত কৃষক ভোক্তাধিকারের হস্তক্ষেপে ফেরত পেলেন ক্ষতিপূরনের টাকা

ঝিনাইদহে পিঁয়াজের বীজ কিনে প্রতারিত কৃষক ভোক্তাধিকারের হস্তক্ষেপে ফেরত পেলেন ক্ষতিপূরনের টাকা


ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের মো: জামিরুল ইসলাম এবং খোরশেদ আলম গত ৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখে ঝিনাইদহ অগ্নিবীণা সড়ক হাসান বীজ ভান্ডার এর বিরুদ্ধে পিঁয়াজের তাহেরপুরী জাতের বীজের কৌটার উপর কিং জাতের মোড়ক লাগিয়ে এবং মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে অধিক মূল্যে পিঁয়াজের বীজ বিক্রয় করা হয় মর্মে জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডলের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে রোববার হাসান বীজ ভান্ডার এর স্বত্ত¡াধিকারী হাসান আহমেদ উপস্থিত হয়ে তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় ও অভিযুক্ত স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করায় অভিযুক্ত হাসান বীজ ভান্ডারকে দোষী সাব্যস্থ করা হয় এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৪৫ লঙ্ঘনের অপরাধে টাকা ৫০ হাজার টাকা মাত্র জরিমানা আদায় করা হয়। জরিমানার টাকায় অভিযোগকারীর অংশ হিসেবে আরোপিত জরিমানার ২৫% হিসেবে ১২ হাজার ৫শত টাকা তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করা হয়। পাশাপাশি অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান অভিযোগকারীদ্বয়কে বীজের সম্পূর্ণ মূল্য বাবদ ১ লাখ ১২ হাজার ৩শত টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদান করেন। অভিযোগকারীদ্বয়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত অক্টোবর মাসে অভিযোগকারীদ্বয় তাদের নিজের এবং গ্রামের অন্যান্যদের জন্য অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান হতে পিঁয়াজের কিং জাতের বীজ ক্রয় করেন। কিন্তু বীজ রোপনের পর প্রত্যাশিত মাত্রায় না গজানোর ফলে তাদের মনে সন্দেহ হয় যে, বীজের মান ভালো নয়। তখন তারা বীজের কৌটার লেবেল তুলে ফেললে দেখতে পান যে লেবেলের নীচে তাহেরপুরী জাতের অন্য একটি লেবেল লাগানো আছে। পাশাপাশি কৌটার নীচে এবং লেবেলের গায়ে আলাদা মেয়াদ দেওয়া। তখন তারা অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে কোন প্রতিকার পাননি। পরবর্তীতে তারা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।প্রত্যাশিত প্রতিকার পেয়ে তারা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। এসময় জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ভুক্তভোগি কৃষকদের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেন। এছাড়াও তিনি পণ্য বা সেবা ক্রয়ের সময় প্রতারিত হলে প্রমাণসহ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে সকলকে পরামর্শ দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Ads 1