ঝিনাইদহের একটি বাসা বাড়িতে নগদ এক লক্ষ টাকা ও ৯ভরি স্বার্ণালঙ্কারসহ দশ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। ঘটনাটি উপশহর পাড়ার শফিকুর রহমান এর বাসা বাড়িতে রাতের কোন এক সময় সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা যায়, লোহার গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে দরজার সিটকনী ভেঙ্গে আলমারিতে থাকা নয় ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।সাতদিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় শফিকুর রহমান নিজ গ্রাম রাজাপুরে সপরিবারে বেড়াতে যান। এসময় বাসা ফাঁকা পেয়ে স্ত্রীর নয় ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা চুরি করে দুবৃর্ত্তরা।
তিনি জানান গত ত্রিশ তারিখ বিকালে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে শনিবার ফিরে এসে ঘরের আসবারপত্র এলোমেলো দেখে জানতে পারে এই ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শফিকুর রহমান। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার,সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান সংগীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাসার বলেন পার্শ্ববর্তী বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চোর সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
মহামারী করোনাকালীন সময়ে শহরে চুরি বেড়েছে বলে অনেকে ধারণা করছে। কারণ কয়েকদিন আগে শহরের আরাপপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে সার্থক গ্যাসঘরে ও পাগলা কানাই মডেলদের বাসাবাড়িতেও চুরি সংঘটিত হয়েছে।মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে শহরে একাধিক চুরি সংঘটিত হওয়ায় জনমনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তারা পুলিশ প্রশাসনের টহল জোরদার করার দাবি জানান।