ঝিনাইদহে ত্রাণের দাবিতে পাগলা কানাই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও ইউপি কার্যালয় ঘেরাও
কাজী মোহাম্মদ আলী পিকু,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহে ত্রাণের দাবিতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও ইউ.পি কার্যালয় ঘেরাও করেছে ইউনিয়নের বাসিন্দারা। তাদের দাবি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে. এম.নজরুল ইসলাম তাদের কোন খোঁজ খবর রাখেন না। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন ওই ইউনিয়নের হতহদরিদ্র এই মানুষগুলো। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তারা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ এবং কার্যালয় ঘেরাও করেন। ঐক্যবদ্ধ হতদরিদ্র মানুষের দাবি চেয়ারম্যান তাদের কাছ থেকে একাধিকবার ভোটার আইডি কার্ড নিয়েছেন কিন্তু পরে আর দেখা করেনি। তারা আরও বলেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কে এম নজরুল ইসলাম আমাদের জন্য বরাদ্ধ তুলে চেয়ারম্যান তার নিজের পছন্দের লোকদেরকে কিছু কিছু দিয়ে বাদ বাকি গায়েব করে দিচ্ছে। বিক্ষোভ ঠেকাতে চেয়ারম্যানের কিছু পোষা লোকজন এক বৃদ্ধাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং এই ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক সংঘাতের রুপ নেয়। পরে সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ত্রাণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শান্ত করা হয়।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে আমার ইউনিয়নে ১হাজার পরিবারকে সরকারি ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি। আবার নতুন করে ৫শ পরিবারকে ত্রাণ বিতরণের তালিকা প্রস্তুত করছি, কিছু স্বার্থানেশি মহল আমার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে লেলিয়ে দিচ্ছে এখানে কোন অনিয়ম হয়নি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদরুদ্দোজা শুভ বলেন,যারা সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ৯৩৩টি পরিবার,তারা এই ত্রাণ সুবিধা পাবেন না। তাছাড়া তিনি আরও বলেন,সরকারের নীতিমালা অনুসারে ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ জানান।
এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুর রশিদ বলেন এটা আমার ইউনিয়ন,এখানে কোন ধরণের সমাবেশ বিক্ষোভ হলে আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। সরকারি বরাদ্ধ বাদেও আমি ব্যক্তিগতভাবে ১২শ পরিবারকে সহায়তা দিয়েছি। তিনি এখনো যারা পাইনি তাদের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।