ঝিনাইদহে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে বদলির সুপারিশ এমপির-১
কাজী মোহাম্মদ আলী পিকু,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে। জাতীয় সংসদের প্যাডে ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ে এই বদলির জন্য সুপারিশ করেন। বদলির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে রোববার দিনব্যাপী বিভাগীয় প্রতিনিধিরা তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। তদন্ত দলে রয়েছেন পানি সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুল ইসলাম ও খুলনা সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জামানুর রহমান। এমপির বদলির সুপারিশে জানা গেছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ঝিনাইদহে যোগদানের পর থেকে সরকার বিরোধী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিবিরের সভাপতি,সাধারন সম্পাদক এবং ঝিনাইদহ ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারন সম্পাদকের সাথে অধিকাংশ সময় অফিসে মিটিং করে থাকেন। যা সরকারি উন্নয়নমুলক কাজের ক্ষতি ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। নির্বাহী প্রকৌশলী ক্ষমতার অপব্যবহার করে সব উন্নয়নমুলক কাজের টেন্ডার বার বার রি-টেন্ডার করে দেয়। যার ফলে সাধারণ ঠিকাদারগণ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এবং সরকারের উন্নয়নমুলক কাজ ব্যহত হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রকৌশলী ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাদের বেশ কিছু কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বেশ কিছু মেরামতের টেন্ডার যা লটারীর মাধ্যমে ঠিকাদারগণ পান। সেগুলো তিনি বাতিল করে পছন্দের ঠিকাদারদের মাধ্যমে “আরএফকিউ” টেন্ডারের মাধ্যমে উৎকোচ গ্রহণ করে কাজগুলি তাদের মধ্যে বিতরণ করেছেন।এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এমপি ডিও লেটারের মাধ্যমে মন্ত্রনালয়ে একটি অভিযোগ করেন। সেকারণে মন্ত্রনালয় আমাকে ঝিনাইদহের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে বদলির জন্য একটি চিঠি দিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় প্রতিনিধিরা ঝিনাইদহে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্ত দল প্রতিবেদন দিলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।