জীবন যুদ্ধে পরাজিত না হলেও, মৃত্যুর কাছে পরাজিত
এক দরিদ্র পিতার সফলতার গল্প
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
জীবন যুদ্ধে পরাজিত না হলেও, মৃত্যুর কাছে হার মানতে হলো এক পিতার। রাজ প্রাসাদ কিম্বা নামি দামি আসবাব রেখে যেতে না পারলেও রেখে গেছে দুই দুটো পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় সন্তান, যারা আলো ছড়াবে জগৎময়। গতকাল এমনি এক পিতা হরিণাকু-ু উপজেলার গুড়পাড়া ভাতুড়িয়া গ্রামের মোঃ শহীদুল ইসলাম শহীদ (৫৪), অকাল মৃত্যু বরন করেছেন। তিনি একই গ্রামের মৃত গোলাপ সর্দ্দারের ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে এবং এক মেয়ে সন্তান রেখে গেছেন। বড় মেয়ে বিউটি খাতুন গত কিছুদিন আগে ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় হিসাব এবং নিরীক্ষা ক্যাডারে উর্ত্তীণ হয়ে যোগদানের অপেক্ষায় রয়েছে এবং বর্তমানে পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি)’র উপ-পরিচালক হিসাবে কর্মরত আছে, আর ছেলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাশ করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্নাস তৃতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত।
স্বজনরা জানিয়েছেন বুধবার বিকালে বৈডাঙ্গা বাজারের ইউনুচ টেইলার্স নামে এক দোকানে কাজ করছিলেন এমন সময় হঠাৎ শরীর খারাপ করলে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসে এবং অবস্থা আরও অবনতি দেখে ঢাকার হ্দৃরোগ ইনিস্টিটিউটে নিয়ে যায় এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন সে ঐ টেইলার্সেই কাজ করতেন।
একেবারেই পল্লীতে বসবাস, জীবনের শেষ দিনটিও কেটেছে পরের দোকানে কাজ করে। কিভাবে ছেলে মেয়ে দুটিকে এত শিক্ষিত করে গড়ে তুলছে তা তিনি নিজেও জানতেন না। কখনো কারও কাছে হাত পাততে দেখেনি, অত্যন্ত ন্যায় এবং নিষ্ঠাবান মানুষ ছিলেন। এখন তো সুখ তার খুব কাছে এসে বাসা বেধেছে, মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা অর্জণ করে একজন বিসিএস অফিসার হয়েছে, ছেলের লেখা পড়াও প্রায় শেষের দিকে এই অকাল মৃত্যুতে পরিবারটিতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ৫নং কাপাশহাটীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।